নারীদের মাথা কেটে ফেলে দেওয়া হচ্ছে নদীতে

Slider সারাবিশ্ব


২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলে নেয় তালেবান। এরপর থেকে দেশটির নারীদের ওপর একের পর এক খড়গ নেমে এসেছে। নতুন এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশটিতে নারীদের শিরচ্ছেদ করা হচ্ছে এবং তাদের লাশ নদী ও রাস্তায় ফেলে দেওয়া হচ্ছে। খবর দি ইন্ডিপেন্ডেন্টের।

আফগানিস্তানে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে নতুন রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত দুই বছরে তালেবান শাসনামলে তিন হাজার ৩২৯টি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। গবেষকরা এ রিপোর্ট করতে ওপেন সোর্স ডেটা ব্যবহার করেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের মধ্যে হত্যা, গুম ও জনগণের ওপর নির্যাতনের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।

গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, দেশটিতে শত শত নারীকে হত্যা করেছে তালেবান এবং এ সংখ্যা বাড়ছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে আফগান প্রত্যক্ষদর্শীরা নারীদের হত্যার কথা রিপোর্ট করেছে- প্রায়ই চরম সহিংসতা এবং বর্বর পরিস্থিতিতে তারা হত্যার শিকার হয়েছে।

গবেষকরা জানান, গত বছরের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত এমন ১৮৮টি হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এসবের মধ্যে নারীদের শিরচ্ছেদ বা গুলি করে হত্যার ঘটনাও আছে। নিহত নারীদের লাশ এরপর নদী বা রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়েছে।

আফগান উইটনেস প্রজেক্টের ডেভিড ওসবর্ন বলেছেন, তালেবান মানবাধিকার সংক্রান্ত তাদের প্রথম দিকের অনেক প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসেছে বিশেষ করে মেয়ে ও নারীদের ক্ষেত্রে।

তালেবান ক্ষমতায় আসার পর দেশটিতে নারীদের চাকরি করা বন্ধ হয়ে গেছে। তৃতীয় শ্রেণির ওপরে নারীদের পড়াশুনাও নিষিদ্ধ হয়েছে। তালেবান কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে নারীবিরোধী অনেক আইন চালু করেছে। সেইসঙ্গে অনেক অপরাধের শাস্তি প্রকাশ্যে দেওয়া শুরু করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *