গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সহ ৪ জন দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
দগ্ধরা হলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার মিনারুল ইসলাম, তাঁর বাবা ফরমান মন্ডল ও মা খাদিজা বেগম এবং চুলার মিস্ত্রি শফিকুল ইসলাম।
রোবরার (১৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পরিবারের সদস্যরা ডাক্তারের বরাত দিয়ে জানায়, মিনারুল ইসলামের ৯৫ ভাগ. তাঁর বাবা ফরমান আশংকা জনক এবং খাদিজা বেগমের শরীরের ৪৫ ভাগ পুড়ে গেছে।
গাজীপুর মহানগর গাছা থানার ওসি ইব্রাহিম হোসেন জানান, আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। আগুনে তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে।
ওসি জানায়, রান্না ঘরে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজের কারণে এবং দরজা জানালা বন্ধ থাকায় গ্যাস সিলিন্ডারের নির্গত গ্যাসে রুম পরিপূর্ণ হয়ে থাকে। কিন্তু মিস্ত্রি বিষয়টি বুঝতে না পারে অটো চুলার সুইচ বার বার অন অফ করে। ফলে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তিনি জানান, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সেকশান অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান জানান, চুলায় আগুণ জ্বালানোর সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে ৪ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
তিনি জানান, উত্তরখাইলকুর মুক্তার বাড়ি এলাকার জমির উদ্দিন রোডে মিনারুল ইসলাম তার স্ত্রী, সন্তান ও পিতা-মাতাকে নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
গত রোববার বিকালে তাদের বাড়ির রান্নার এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে যায়।নতুন গ্যাস সিলিন্ডার কিনে আনা হয়।চুলা না জ্বলায় চুলার মিস্ত্রি শরিফুল ইসলামকে নিয়ে এসে সেটি মেরামত করা হয়। রাত সাড়ে ১০ টার দিকে চুলা জ্বালানোর জন্য আগুন জ্বালালে ঘরে জমে থাকা গ্যাস থেকে আগুন জ্বলে বিকট শব্দে বিস্ফোরন ঘটে।