ইমরান খানকে দেখতে ‘কুখ্যাত’ কারাগারে বুশরা

Slider সারাবিশ্ব

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গত শনিবার তোশাখানা মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার পরেই গ্রেপ্তার করা হয়। দেশটির প্রভাবশালী পত্রিকা ডন জানিয়েছে, পিটিআই চেয়ারম্যানকে শনিবার সন্ধ্যাতেই দেশটির পাঞ্জাবের অ্যাটক কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।

জিও নিউজ তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো জেলে ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করেছেন তার স্ত্রী বুশরা বিবি। এইসময় বুশরা বিবির সঙ্গে ছিলে ইমরান খানের আইনজীবীরা।

ইমরান খান ও বুশরা বিবির মধ্যে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে কথা হয়। তবে আইনজীবী নাঈম পাঞ্জোতা, শের আফজাল মারওয়াত এবং আলি ইজাজ বুট্টার ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পাননি।

নাঈম পাঞ্জোথা জানিয়েছেন, বুশরা বিবি ইসলামাবাদ হাই কোর্ট থেকে ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পান। সূত্রের বরাত দিয়ে জিও নিউজ জানিয়েছে, কোর্টের নির্দেশনা দেখানোর পরেও ইমরান খানের সঙ্গে লিগ্যাল টিমের দেখা করতে দেওয়া হয়নি।
কড়া নিরাপত্তার মাঝে অ্যাটক কারাগারে রাখা হয়েছে ইমরান খানকে

এর আগে সোমবার নিজের আইনজীবীদের ইমরান বলেছেন, ‘আমি আর জেলে থাকতে চাই না। আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাও।’ এ নিয়ে জিও নিউজ সেইদিন তাদের প্রতিবেদনে জানায়, অ্যাটক কারাগারে দিনে মাছি ও রাতে পোকামাড়রের উৎপাতে বিরক্ত ইমরান।

এদিকে ডন জানায়, ইমরান খানই দেশটির প্রথম সাবেক কোনো প্রধানমন্ত্রী যাকে ‘কুখ্যাত’ এ কারাগারে রাখা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলের একজন কর্মকর্তা ডনকে বলেছিলেন, ইমরান খানের জন্য একটি ভিভিআইপি জেল প্রস্তুত ছিল। এই সেলে কোনো এসির ব্যবস্থা নাই। কিন্তু একটি ফ্যান, বেড ও ওয়াশরুম আছে।

এর আগে ১৯৯৯ সালে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে অ্যাটক দুর্গে রাখা হয়। পরবর্তী সময়ে তাকে জেদ্দায় ১০ বছরের জন্য নির্বাসনে পাঠানো হয়। অ্যাটক কারাগার এবং অ্যাটক দুর্গ একে অপরের থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত।

অ্যাটক দুর্গ ১৫৮১ থেকে ১৫৮৩ সালে মোঘল সম্রাট আকবরের শাসনামলে খাজা শামসউদ্দিন খাওয়াফির তত্ত্বাবধানে এটি নির্মিত হয়। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সীমান্তবর্তী সিন্ধু নদীর তীরে দুর্গটি অবস্থিত।

অন্যদিকে অ্যাটক কারাগার ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯০৫-০৬ সালে ৬৭ একর জমির ওপর নির্মিত। ব্রিটিশ শাসকরা সেইসময় বিদ্রোহীদের এখানে আটকে রাখত।

তবে এখন পাকিস্তানে এটি নিরাপত্তার কারাগার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এখানে দেশটির বিপজ্জনক বন্দীদের রাখা হয় বলে ডন জানিয়েছে। এখানে থাকা বন্দীদের মধ্যে বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়া জঙ্গিও আছে। ১৯৯৯ সালে পাঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকেও এই জেলে রাখা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *