দুর্নীতি দমনের হাতিয়ার হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেয় বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতি দমন বিভাগের সমন্বয়ক রিচার্ড নেফিউ। আজ সোমবার বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন তিনি।
বৈঠকের সময় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্র সচিব।
১১ জনের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আসছে কি না জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, এগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তিনি (রিচার্ড নেফিউ) নিজেও যেহেতু স্যাংশনসের (নিষেধাজ্ঞা) কর্মকর্তা ছিলেন এক সময়, সুতরাং কোনো ব্যক্তির কথা বলেননি।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এটা বাংলাদেশের কিছু না। ওরা বলছে, বড় বড় প্রজেক্ট, ব্লু ডট প্রয়োগ। সেখানে ভবিষ্যতে বিনিয়োগ আসার ক্ষেত্রে ওই ধরনের প্রজেক্টকে অগ্রাধিকার দেবে। তবে ব্যক্তির বিরুদ্ধে বা কোনো দেশের বিরুদ্ধে হবে কি না, এগুলো নিয়ে আলাপ হয়নি।
বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচারের বিষয়ে রিচার্ড নেফিউরের কোনো মতামত ছিল কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মানি লন্ডারিং তো দুর্নীতির একটি পার্ট। মানি লন্ডারিং নিয়ে আমরা আলাপ করেছি। আমরা বলেছি যেসব ব্যাংক বা ছোট ছোট আইল্যান্ড কান্ট্রি- সেগুলোতে সহজেই টাকা পাচারের বিষয় আছে। আমরা হুন্ডি নিয়ে কথা বলেছি। এগুলোতে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি থাকা দরকার। এটি কোনো একটি দেশ বা সংস্থার পক্ষে শতভাগ দেখা সম্ভব না।’
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমি সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছি। কারণ এটা সমাজে একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। তবে সব দেশেই এটা একটা সমস্যা। এমন কোনো দেশ পৃথিবীতে নেই যেখানে এ ধরনের সমস্যা নেই, কম-বেশি সব জায়গায় আছে।’
বাংলাদেশের দুর্নীতির চিত্র নিয়ে তাদের কোনো মতামত ছিল কি না- জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘না, এগুলো নিয়ে হয়তো অন্য জায়গায় আলোচনা হয়েছে। আমাদের সঙ্গে হয়নি।’