ভিডিও দেখিয়ে বিএনপি বলল তাদের ওপর হামলা হয়েছে

Slider বাংলার মুখোমুখি

দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। বৈঠকে গত ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে তাতে হামলা, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং নেতাকর্মীদের মারধরের ঘটনার বিষয়ে কূটনীতিকদের ব্রিফ করে দলটি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ভিডিওতে দেখানো হয়েছে, সেদিন কীভাবে পুলিশ তাকে পিটিয়ে আহত করেছে। খবর বৈঠক সূত্রের।

সূত্রমতে, বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, জার্মানি, জাপান, চীন, রাশিয়াসহ ২৫টি দেশের কূটনীতিকরা অংশ নেন। বৈঠকে সেদিনের ঘটনার ওপর নির্মিত ভিডিও দেখিয়ে বিএনপি অভিযোগ করেছে, তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিল। বিনা উসকানিতে পুলিশ ও ক্ষমতাসীনরা তাদের ওপর হামলা করেছে। পুলিশের উপস্থিতিতে

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা গাড়িতে আগুন দিয়েছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা। এ সময় তারা ২৮ জুলাইয়ের মহাসমাবেশের বিষয়েও বিস্তারিত তুলে ধরেন।

বৈঠকে উপস্থিত দলের আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির দুই নেতা জানান, ভিডিওতে কূটনীতিকদের দেখানো হয়েছে, বিএনপি কীভাবে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়েছিল। সেই শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ক্ষমতাসীনরা কীভাবে হামলা করেছে; পুলিশ গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। পুরো ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলোও তুলে ধরা হয়। দলের নেতারা এ সময় যোগ করেন, বিএনপি সহিংসতায় জড়ায়নি। স্বাগত ও সমাপনী বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানকে সাজা দেওয়ার ঘটনারও নিন্দা জানান। তিনি অভিযোগ করেন, তারেক রহমানকে রাজনীতি ও নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখতে এ সাজা দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে দলের বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিদেশিরা জানতে চায় বাংলাদেশে কী হচ্ছে। সে জন্য ২৯ তারিখের আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার ও সরকারি দলের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের যে যৌথ কর্মকা-, মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার ইত্যাদি বিষয় আমরা বলেছি। যাদের পিটিয়ে আহত করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। অনেকে বিদেশে আছেন, অনেকে হজে ছিলেন- তাদের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। এতে করে মামলার উদ্দেশ্য বোঝাই যাচ্ছে।’

বিএনপির অন্য নেতাদের মধ্যে মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির সদস্য এনামুল হক চৌধুরী, শামা ওবায়েদ, আসাদুজ্জামান আসাদ, ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, তাবিথ আউয়াল, ব্যারিস্টার মীর হেলাল, ইশরাক হোসেন, ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, রুমিন ফারহানা, ফারজানা শারমিন পুতুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *