সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সভাপতি এম হাফিজ উদ্দীন খান ও সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলার আবেদন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করেন সুপ্রিমকোর্টের চার আইনজীবী। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আটক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাকে জামিন দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিবৃতি দেওয়ার ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়।
মামলার আবেদনে সুজনের দুই শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে। আইনজীবী মনিরুজ্জামান রানা বলেন, ‘সুজনের দুজনের বিরুদ্ধে আমরা আদালত অবমাননার অভিযোগে আবেদন করেছি।’
এর আগে গত ১০ জুলাই আপিল বিভাগ খাদিজাকে জামিন না দিয়ে তার জামিন আবেদন চার মাসের জন্য মূলতবি করে রাখেন। গত ১২ জুলাই খাদিজার মুক্তি দাবি করে বিবৃতি দেয় সুজন। বিবৃতিতে সুজনের সভাপতি এম হাফিজ উদ্দীন খান ও সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, কেবল সরকারবিরোধী প্রচারণা ও কটূক্তির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীকে মাসের পর মাস জামিন না দিয়ে কারাগারে আটকে রাখা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এভাবে জামিন না দিয়ে একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন রাষ্ট্র কোনোভাবে ধ্বংস করে দিতে পারে না। অবিলম্বে তাকে জামিন দেওয়াসহ তার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা। অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়। একটি মামলা রাজধানীর কলাবাগান থানায়, অপরটি নিউমার্কেট থানায়। দুটি মামলার বাদীই পুলিশ। এ মামলায় প্রায় ১১ মাস ধরে কারাগারে আছেন তিনি।