দিনাজপুর হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) ছাত্রলীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ৪টি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুর ১টায় হাবিপ্রবি ক্যাম্পাসের সামনের সড়কে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৫টা) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
দিনাজপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বলেন, দুপুর ১টায় দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে বিএনপি ও ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দিনাজপুরে রংপুর বিভাগীয় পদযাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য সকাল থেকেই রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা দিনাজপুরে আসতে থাকে। দুপুরে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের বহনকারী একটি বাস আটক করে ভাঙচুর চালায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা শাহ আলম দাবি করেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলায় ছাত্রলীগের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক ভবনের জানালার কাচ ভাঙচুর করেছে। ভেটেরিনারি হাসপাতালের সামনের মূল ফটক ভাঙচুর করেছে তারা।
হাবিপ্রবির গণসংযোগ বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক শ্রীপতি সিকদার মোবাইল ফোনে জানান, আজ বুধবার দুপুর ১টার পর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে ঢুকে হাবিপ্রবির বিভিন্ন আবাসিক ভবনের জানালার কাচ ও মূল ফটক ভাঙচুরের চেষ্টা করে। এরপরই ছাত্রলীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয় হয়। এ ঘটনায় ৪টি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে। উভয়পক্ষের কমপক্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মামুনুর রশীদ বলেন, ছাত্রলীগের ওপর হামলা চালিয়েছে এবং ক্যাম্পাসে ভাঙচুর করেছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। আমরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করছি।
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক গোলাম মওলা বলেন, ঘটনাস্থলে ডিবি ও থানা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ।