এম এ কাহার বকুল: আজ ১৮ জুলাই, ২০২৩ইং রোজ মঙ্গলবার ইএসডিও-এসইপি ফুল গ্রেইন চাল প্রকল্পের আওতায় পরিবেশ বান্ধব চিমনী উদ্বোধন করা হয়। ইকো-সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) এর সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট (এসইপি)-এর আওতাভুক্ত হাস্কিং মিলের ফুল গ্রেইন চাল উৎপাদনের জন্য ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার শিবগঞ্জ এলাকায় মেসার্স খাদেম হাস্কিং মিল, পিউরিটি রাইস এজেন্সি মিলে পরিবেশ ব্ন্ধব চিমনী উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক-খন্দকার আবুল বাসার। ওসি এলএসডি, শিবগঞ্জ-খলিলুর রহমান
হাস্কিং মিল মালিক আবুল কাসেম, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মো:পাপ্পু মিয়া, মো: বাবলু মিয়া, মো: লিটন মিয়া, মো: মোস্তফা কামাল, মো: ফজলুল রহমান চিকন, চাল ব্যবসায়ী মো: সুলতান আলী। সাংবাদিকগণ ও ইএসডিও কর্মকর্তার মধ্যে ছিলেন ফোকাল পার্সন মো: খাতিবর রহমান, প্রজেক্ট ম্যানেজার মো: আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, শাখা ব্যবস্থাপক মো: মোকসেদুল ইসলাম। ডকুমেন্টেশন অফিসার মো: আতিকুজ্জামান রাজীব ও শিবগঞ্জ এলাকায় হাস্কিং মিল শ্রমিক গণ
সভার শুরুতেই সভাপতির অনুমতিক্রমে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইএসডিও-এসইপি-এফজিআরএম প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক আবু। এসময় তিনি পরিবেশ বান্ধব চিমনী ও বয়লার এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
ইএসডিও-এসইপি ফুল গ্রেইন চাল প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন মোঃ খাতিবর রহমান, ফোকাল পারসন, ইএসডিও-এসইপি।
প্রকল্পের অগ্রগতি উপস্থাপন শেষে উন্মুক্ত আলোচনা করা হয়, উন্মুক্ত আলোচনায়, রাইস মিলারগণ ইএসডিও-এসইপি ফুল গ্রেইন চাল উৎপাদন পদ্ধতি ও নিয়মাবলী নিয়ে আলোচনা করেন এবং কিভাবে এই ফুল গ্রেইন চাল উৎপাদন করতে হবে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা বরেন। ফুল গ্রেইন চাল উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ সম্পর্কে ও বিস্তারিত আলোচনা করেন। পরিবেশ বান্ধব চিমনী, বয়লার, বিএসটিআই সার্টিফিকেট ইস্যুকরণ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, পণ্যর মোড়কজাত, বয়লার লাইসেন্স, পরিবেশ লাইসেন্স, ফুড সার্টিফিকেট নিয়ে আলোচনা করেন।
বর্তমানে প্রায় সব হাস্কিং মিল বন্ধ, ইএসডিও আবার সেই হাস্কিং মিল গুলো চালু করার জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ করে যাচ্ছেন, তারা বিভিন্ন জায়গায় পাবলিক টয়লেট স্থাপন করে দিচ্ছেন। এতে করে হাস্কিং মিল মালিকরা উপকৃত হচ্ছেন পাশাপাশি শ্রমিকরাও পরিবেশ সম্মতভাবে মিলে কাজ করছেন। বর্তমানে শ্রমিকরা পিপিই পরে মিলে কাজ করছেন, তারাও পরিবেশ সচেতনতা মেনে সাবধানতা অবলম্বন করে কাজ করছেন, ফলে তাদের রোগ কম হচ্ছে, তারা সুস্থ্য থাকছেন এবং মিলে কাজ করতে আগ্রহী হচ্ছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে ও আমার এলাকার পক্ষ থেকে ইএসডিও কে ধন্যবাদ জানাই এরকম পরিবেশ বান্ধব একটি প্রকল্প হাতে নেওয়ার জন্য।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক-খন্দকার আবুল বাসার প্রথমেই তিনি উপস্থিত সকলকে নিরাপদ খাদ্য খাওয়ার জন্য এবং নিরাপদে চলার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি ইএসডিও-এসইপি ফুল গ্রেইন চাল প্রকল্পের এই সব কার্যক্রমে সন্তুষ্ট হয়ে, ভবিষ্যতে হাস্কিং মিলের বেশি বরাদ্দের বিষয়টি উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করবেন, যাতে হাস্কিং মিলগুলো ফুল গ্রেইন রাইস উৎপাদনে আগ্রহী হয়।
তিনি বলেন, অটোরাইস মিল সমূহ মোটা চালকে ছাটাই, পলিস করার মাধ্যমে চালের পুষ্টিগুন নষ্ট করে মিনিকেট চাল নামে চালের বর্জ্য বিক্রয় করিতেছে। যাহা স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর এবং রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে চালকে পলিস করার মাধ্যমে মানব শরীরে রোগ ব্যাধি সৃষ্টি হচ্ছে। অটোরাইস মিলের চাল চকচকে হওয়ায় সাধারণ মানুষ তা কিনতে আগ্রহী হচ্ছে। কিন্তু হাস্কিং মিলের চাল চকচকে না হওয়ায় সাধারণ মানুষ তা কিনছে না অথচ হাস্কিং মিলের চাল স্বাস্থ্য সম্মত। তিনি বলেন হাস্কিং মিল গুলোতে যদি পরিবেশ/ইকো বান্ধব ও পরিবেশ সম্মত উপায়ে ফুল গ্রেইন চাল উৎপাদন করা যায় তাহলে এই ফুল গ্রেইন চালের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়বে এবং মানুষ এই চাল ক্রয় করে খেতে আগ্রহী হবে বলে আমি মনে করি। তিনি বড় বাজার সম্পর্কে সবাইকে ধারণা দেন এবং এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি আরও বলেন হাস্কিং মিলের চাল নিরাপদ উপায়ে কিভাবে উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ করতে হবে তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। পরিবেশ বান্ধব চিমনী ও বয়লারের উপকারিতা গুলো সম্পর্কে ও তিনি বিস্তারিত আলোচনা করেন। বর্তমানে অটোরাইস মিল ও হাস্কিং মিলে চিমনী না থাকার কারণে মিলের কালো ধোঁয়া পরিবেশের যে ক্ষতি করছে সে সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করেন তিনি। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই প্রকল্পর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ফুল গ্রেইন চাল গ্রহণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যগত ভাবে উপকৃত হবে। সর্বোপরি তিনি ইএসডিও কে এই প্রকল্প গ্রহণের ধন্যবাদ জানান এবং সর্বাত্নক সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করেন।
মোঃ আবুল কাশেম, হাস্কিং মিল ব্যবসায়ী বলেন, অটো-রাইস মিলের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে হাস্কিং মিলগুলো লোকসানে পরে বন্ধ হয়ে গেছে, আমার নিজেরই হাস্কিং মিল বন্ধ করে দিতে হয়েছে, বর্তমানে হাস্কিং মিল ব্যবসায়ীরা অন্য পেশা অবলম্বন করছেন। এমতাবস্থায় ইএসডিও-এসইপি ফুল গ্রেইন চাল প্রকল্প আমাকে একটি পরিবেশ বান্ধব চিমনী ও বয়লার করে দিলেন, যাতে করে মিলগুলো পুনরায় চালু করতে পারি এবং মানুষ যেন আবার হাস্কিং মিলের চাল খায়। আমি ও আবার নতুন করে পুরোদমে হাস্কিং মিল চালু করতেছি এবং পরিবেশ বান্ধব উপায়ে ফুল গ্রেইন চাল উৎপাদন করবো ইসশাহআল্লাহ।
সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইএসডিও-এসইপি, ফুল গ্রেইন চাল, ঠাকুরগাঁও দিনাজপুরসহ সারা দেশে এর মার্কেটিং করতে হবে, কিভাবে এই চালের মার্কেটিং করতে হবে তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন অটোরাইস মিল সমূহ মোটা চালকে ছাটাই, পলিস করার মাধ্যমে চালের পুষ্টিগুন নষ্ট করে মিনিকেট চাল নামে চালের বর্জ্য বিক্রয় করিতেছে। যাহা স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর এবং রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে চালকে পলিস করার মাধ্যমে মানব শরীরে রোগ ব্যাধি সৃষ্টি হচ্ছে। অটোরাইস মিলের চাল চকচকে হওয়ায় সাধারণ মানুষ তা কিনতে আগ্রহী হচ্ছে। কিন্তু হাস্কিং মিলের চাল চকচকে না হওয়ায় সাধারণ মানুষ তা কিনছে না অথচ হাস্কিং মিলের চাল স্বাস্থ্য সম্মত। তিনি বড় বাজার সম্পর্কে সবাইকে ধারণা দেন এবং এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি আরও বলেন হাস্কিং মিলের চাল নিরাপদ উপায়ে কিভাবে উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ করতে হবে তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা বরেন। হাস্কিং মিলের চাল নিরাপদ উপায়ে কিভাবে উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ করতে হবে তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সর্বোপরি তিনি ইএসডিও কে এই প্রকল্প গ্রহণের ধন্যবাদ জানান এবং সর্বাত্নক সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই প্রকল্পর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ফুল গ্রেইন চাল গ্রহণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যগত ভাবে উপকৃত হবে।
আর কোন আলোচনা না থাকায় তিনি উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্ত ঘোষনা করেন।