চলতি বর্ষা মৌসুমে তুমুল বৃষ্টিপাতে ভারতের উত্তরাঞ্চলের জনগণ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। দিল্লিতে যমুনা নদীর পানির উচ্চতা সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ৪৫ বছরের রেকর্ড ভেঙে ২০৭ দশমিক ৫৫ মিটার উচ্চতায় (প্রায় ৬৮১ ফুট) প্রবাহিত হচ্ছে যমুনার পানি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় বাড়িঘর ও বাজার পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অনেকেই বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।
পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত থাকায় জরুরি বৈঠক ডেকেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় পুরনো রেল সেতুর কাছে যমুনা নদী ২০৭ দশমিক ৩৮ মিটার (প্রায় ৬৮০ ফুট) উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছিল। সর্বশেষ ভারতের রাজধানীতে ২০১৩ সালে ২০৭ দশমিক ৩২ মিটার উচ্চতায় যমুনা প্রবাহিত হয়। দিনের পরের অংশে ১৯৭৮ সালের রেকর্ড ২০৭ দশমিক ৪৯ মিটার উচ্চতাকেও ছাড়িয়ে যায়।
গত কয়েক দিন ধরেই বাড়ছে যমুনার পানির উচ্চতা। প্রশাসন বন্যা-প্রবণ এলাকা থেকে মানুষদের সরিয়ে নিয়েছে এবং পুরনো রেলসেতুর ওপর ট্রেন ও মানুষের চলাচল বন্ধ করেছে।
দিল্লির পানিমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ বলেছেন, ‘পরিস্থিতির মোকাবিলায় সরকার পুরোপুরি প্রস্তুত। আমরা গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
আতিশি মারলেনা নামের অপর এক মন্ত্রী সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘পরিস্থিতি সামলাতে দিল্লি সরকার প্রস্তুত। যমুনার পানির স্তর কতটুকু বাড়ছে, প্রতি মুহূর্তে তা নজর রাখা হচ্ছে। পানি যাতে শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত করতে না পারে, তার জন্য জায়গায় জায়গায় অস্থায়ী বাঁধ বানানো হচ্ছে।’
ভারতের অন্যান্য অংশেও বর্ষার কারণে ভোগান্তিতে আছে মানুষ। হিমাচল প্রদেশে ভূমিধস ও বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাঞ্জাব ও উত্তরাখণ্ডেও বন্যা, পানিবদ্ধতা ও তুমুল বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।