বিএনপির বুধবারের সমাবেশ হবে নজিরবিহীন : রিজভী

Slider রাজনীতি

বুধবার (১২ জুলাই) ঢাকায় বিএনপির নজিরবিহীন সমাবেশ হবে জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এ জনসমাবেশ ঘিরে পুলিশ নানাভাবে নেতাকর্মীদের নির্যাতন, হয়রানি করে যাচ্ছে। তারা গায়েবি মামলা দিচ্ছে। মাইকিংয়ে বাধা দিয়েছে। কিন্তু গ্রেফতার ও হয়রানি কোনো কিছুতেই নেতাকর্মীদের দমাতে পারেনি। আগামীকালের জনসমাবেশে বিপুল তরঙ্গ ও স্রোত তৈরি হবে।

তিনি বলেন, এই সমাবেশ একেবারই ব্যাতিক্রম এবং নজিরবিহীন হবে। কারণ মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো: আব্দুস সালামসহ অসুস্থ নেতাকর্মীদের রোগমুক্তি কামনায় এই দোয়া অনুষ্ঠান হয়। এসময় ঢাকা মহানগর বিএনপির নবীউল্লাহ নবী, প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

রিজভী বলেন, আমাদের চলমান আন্দোলনের কাফেলায় যারা শামিল থাকবে তারা হবে একবিংশ শতাব্দির নতুন মুক্তিযোদ্ধা। যারা বিরুদ্ধাচরণ করবে তারা হবে নব্য রাজাকার।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রিজভী বলেন, সরকারের নির্যাতন-নিপীড়ন, গুম-খুন ও বিচারবর্হিভূত হত্যা এসবে আর কেউ ভয় পাচ্ছে না। কারণ অনেক হয়েছে। চৌধুরী আলম, ইলিয়াস আলীসহ অনেকেই আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে গেছে। আমরা তো হাত গুটিয়ে ঘরে বসে থাকতে পারি না। রাজপথে যদি প্রতিবাদ করতে না পারি, সত্য উচ্চারণ করতে না পারি, ইথারে ইথারে যদি আমাদের কণ্ঠকে উচ্চারিত করতে না পারি তাহলে স্বৈরাচারী দানব সরকার সিন্দাবাদের জিনের মতো জনগণের ঘারের ওপর দীর্ঘদিন বসে থাকার চেষ্টা করবে। কিন্তু আমাদের ইতিহাস সেটি নয়। আমাদের পদ্মা-মেঘনা-মধুমতির পানিতে অনেক রক্ত মিশেছে। পূর্বপুরুষদের অনেক জীবন চলে গেছে। তাদের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা ও পতাকা পেয়েছি। বেঁচে থাকার মন্ত্রণা পেয়েছি। তাই কেউ নতুন করে যদি চিন্তা করে বাংলাদেশের মানচিত্র পরাধীন করে কর্তৃত্ব আজীবনের জন্য ধরে রাখবে বাংলার মাটি সেটা সহ্য করবে না।’

তিনি বলেন, ‘আজকে বিশ্বের যারা গণতন্ত্র ও মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে তারা আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ধিক্কার দিচ্ছে, ঘৃণা জানাচ্ছে। নিজের দেশের মানুষের গলায় ফাঁসির দড়ি পড়িয়েছে সরকার। তারা গোটা দেশের মানুষকে বন্দী করে দেশকে বন্দিশালায় পরিণত করেছেন। কিন্তু সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। দেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং জনগণ মুক্তি পাবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *