যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র, মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার নেতৃত্বে দেশটির একটি প্রতিনিধিদল আজ মঙ্গলবার ঢাকায় আসছে। প্রতিনিধিদলে রয়েছেন- দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’ও। উজরা জেয়া কেন বাংলাদেশ আসছেন, তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশি এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে এক বাংলাদেশি সাংবাদিক বলেন, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার অংশগ্রহণে একটি নির্বাচনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র যে আগ্রহ দেখাচ্ছে সেটিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছে রাশিয়া, চীন এবং ইরান। গত সপ্তাহে রাশিয়া ও চীন এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এবং ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন নেটওয়ার্কে এর সমালোচনা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মন্তব্য জানতে চাওয়া হয়।
জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, বাংলাদেশের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে অন্যদের কেন আপত্তি থাকবে সেটি তিনি বুঝতে পারছেন না। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে তার প্রতিশ্রুতি বারবার ব্যক্ত করেছেন। ৫০ বছরের বেশি সময় যাবৎ বাংলাদেশের বন্ধু এবং অংশীদার হিসেবে আমরা উভয়েই এই আকাঙ্ক্ষা ব্যক্তি করি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক বিপরীতে আরেকটি রাজনৈতিক দলকে তারা সমর্থন করেন না। বরং সত্যিকার গণতান্ত্রিক ধারাকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র।
উজরা জেয়া এবং ডোলান্ড লু’র সফরে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে। সেটি পরিষ্কার করে জানানো হয়েছে স্টেট ডিপার্টমেন্টের এই সংবাদ সম্মেলনে। সফরে তারা ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানে রোহিঙ্গা সংকট, শ্রম অধিকার, মানবাধিকার, মানবপাচার এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে।
ম্যাথিউ মিলার আরও জানান, এই সফরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানে মতপ্রকাশের ও সংগঠনের স্বাধীনতা, সুশাসন এবং গণতন্ত্র নিয়ে আলোচনা হবে।