ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের সোনালী অধ্যায়ে রয়েছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Slider ফুলজান বিবির বাংলা


প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে ‘সুদৃঢ়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি সোনালী অধ্যায়ে রয়েছি।’

আজ শনিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ডিপ্লোম্যাটিক রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি। ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

বাংলাদেশ চীনের লেজুড় নয় দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ কোনো দেশের লেজুড় নয় এবং চীনের দিকে কখনো ঝুঁকেও পড়েনি, কারণ, ঢাকা একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি বজায় রেখে চলে। আমরা কারো লেজুড় নই …. আমরা চীনেরও লেজুড় নই।’

ড. মোমেন বলেন, ‘কিছু লোক মনে করে আমরা চীনের দিকে ঝুঁকছি, কিন্তু আমরা কারও দিকে ঝুঁকছি না।’

বেইজিংকে উন্নয়ন অংশীদার বলে অভিহিত করে তিনি ‘চীনা ঋণের ফাঁদে’ পড়ার কোনো ধরনের আশংকা নাকচ করে দেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এটি একটি ভুল ধারণা। কোনো কোনো পন্ডিত এমন কথা বলেন। অনেকে এটা বিশ্বাস করে, বিশেষ করে কিছু বিদেশি প্রতিষ্ঠান। কোনো অবস্থাতেই আমরা চীনা ঋণের ফাঁদে পড়ব না। বিদেশি ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা খুবই বিচক্ষণ ও সতর্ক। আমরা অপ্রয়োজনীয় ঋণ নেই না।’

ড. মোমেন বলেন, ‘জনকল্যাণের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ অব্যাহতভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বৈদেশিক নীতি- ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়’ অনুসরণ করে চলেছে।’

তিনি বলেন, ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কও ভালো এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মতে, ওয়াশিংটন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে চায়।

মোমেন বলেন, ‘ঢাকা সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছে। সব দেশের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সেজন্য জাতিসংঘে যে কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে আমরা জয়ী হই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *