বিচার নিশ্চিত করতে না পারলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে না: প্রধান বিচারপতি

Slider বাংলার আদালত

বিচার নিশ্চিত করতে না পারলে দেশে আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মুন্সীগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিতব্য ‘ন্যায়কুঞ্জের’ ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘যে যতটুকু অপরাধ করবে, তার ঠিক ততটুকু শাস্তি পেতে হবে। তা যদি নিশ্চিত করতে না পারি, তাহলে আইনের শাসন, গণতন্ত্র— কিছুই প্রতিষ্ঠিত হবে না। গণতন্ত্র ফেইল করলে রাষ্ট্র ফেইল করবে। এ কারণে বিচারব্যবস্থা ঠিক রাখতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।’

হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি। এখন ১৭ কোটি মানুষের দায়িত্ব দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আমরা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে সমৃদ্ধ করব। এ জন্য আমাদের যেটি দরকার, তা হলো রাষ্ট্রের অন্যান্য সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিচারব্যবস্থাকে সহযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।’

তিনি বলেন, ‘সর্বোপরি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা কারও একার পক্ষে সম্ভব নয়। বিচারকদের পাশাপাশি আইনজীবীদের দায়িত্ব আছে। দায়িত্ব আছে রাষ্ট্রের নাগরিকদের। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পাশাপাশি আমরা বিচারব্যবস্থা যাতে এগিয়ে নিতে পারি— সে চেষ্টা সবাইকে করতে হবে। একে-অপরকে সহযোগিতা করবেন, যাতে বিচারপ্রার্থীকে আদালতে এসে হয়রানির শিকার হতে না হয়।’

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘যদি কোনো মামলা বছরের পর বছর চলতে থাকে, তাহলে বিচারপ্রার্থীরা ভাববে, দেশে বিচার-আচার নেই। এটাই বিচার বিভাগের জন্য হবে সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। এটি আমরা হতে দিতে পারি না।’

পরে বিকেল ৫টায় জেলা আইনজীবী সমিতির ১৭৮তম বর্ষপূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে কেক কেটে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধান বিচারপতি। মুন্সীগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি জাকারিয়া মোল্লার সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. সাইফুর রহমান, মুন্সীগঞ্জের সিনিয়র ও জেলা দায়রা জজ কাজী আব্দুল হান্নান, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া রহমান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফায়জুন্নেছা, জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল-মামুন প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *