চলতি বছর পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফিরতি ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন আরও ৪১৯ হাজি। আজ সোমবার সকাল ৬টা ৫ মিনিটে হাজিদের বহনকারী ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্র জানিয়েছে, গতকাল রোববার রাতে সৌদি আরবের মদিনা মনোয়ারা বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের এই ফিরতি ফ্লাইট ঢাকার উদ্দেশে উড্ডয়ন করে। আজ ভোরে বিমানের ওই ফ্লাইটে দেশে আসেন হাজিরা।
আনুষ্ঠানিকতা শেষে সকাল ৭টার দিকে তারা বিমানবন্দর থেকে বের হন। বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও হাজিদের পরিবারের সদস্যরা তাদের অভ্যর্থনা জানান। এ সময় সব হাজিকে জমজম কূপের পানির পাঁচ লিটারের একটি বক্স দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার।
এর আগে, রোববার সন্ধ্যায় পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের ফিরতি প্রথম ফ্লাইটে দেশে ফেরেন ৩৩৩ হাজি। তখন বিমানবন্দরে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান হাজিদের অভ্যর্থনা জানান।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট এক লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন হজ পালনে সৌদি আরব যান। এসব হজযাত্রী বহন করতে মোট ফ্লাইট পরিচালনা করা হয় ৩২৫টি। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১৫৯টি ফ্লাইটে ৬১ হাজার ১৮০ জন, সৌদি এয়ারলাইন্স ১১৩টি ফ্লাইটে ৪১ হাজার ৪৬৮ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ৫৩টি ফ্লাইটে ২০ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী বহন করে।
পবিত্র হজ পালন শেষে বিমান, ফ্লাইনাস ও সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে দেশে আসা হাজিদের মধ্যে জমজমের পানি বিতরণ করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। রোববার সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে ফ্লাইনাসের ফিরতি হজ ফ্লাইট এক্সওয়াই৭৩৯২ এর মাধ্যমে ঢাকায় আসা হাজিদের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হল সংলগ্ন বিমানের কাউন্টার থেকে জমজমের পানি সরবরাহ শুরু হয়।
সৌদি কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী, হাজিরা ব্যক্তিগতভাবে নিজেদের সঙ্গে জমজমের পানি পরিবহন করতে পারবেন না। এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে তা পরিবহন ও বিতরণ করা হবে। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি হাজিকে পাঁচ লিটার করে জমজমের পানি সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিমান।