ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের সঙ্গে বাংলাদেশের নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর স্বামীবাগে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা মহোৎসব উপলক্ষে ইসকন স্বামীবাগ আশ্রমে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন হবে দেশের সংবিধান অনুযায়ী, কোনো বর্হিশক্তির পরামর্শে নয়। আমরা কারও ভিসানীতি, নিষেধাজ্ঞা এসব বিবেচনা করে নির্বাচনে যাচ্ছি না। আমাদের নজর সংবিধানের দিকে, দেশের জনগণের দিকে।’
ভারতকে সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। এর সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। আজকে বিশ্বে অনেক বিষয় যুদ্ধ, মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানি সংকট। এখানে বাংলাদেশ বিষয়ে কোনো কথা হবে কি না, এটা নিয়ে তো ভারতের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়নি। কিংবা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমরা কোনো প্রস্তাব পাঠাইনি বাইডেনকে (যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট) বোঝানোর জন্য।’
তিনি বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু করতে ভিসানীতি প্রয়োগ করতে যাচ্ছে। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কিছু করণীয় আছে কি না, সেটা তার দৃষ্টিকোণ থেকে নিজস্ব ব্যাপার।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনো নির্বাচন নিয়ে ভারত কোনো প্রশ্ন বা হস্তক্ষেপ করেছে- এমন জানা নেই। কিছু কিছু দেশ আছে যাদের নিজেদের গণতন্ত্র ত্রুটিমুক্ত নয়, প্রশ্ন আছে- তারা কি গণতন্ত্র শেখাবে?’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনো কোনো মহল আছে তাদের কাছে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের অর্থ যখন আওয়ামী লীগ পরাজিত হবে। আওয়ামী লীগ পরাজিত হলে নির্বাচন সুষ্ঠু – এটা হচ্ছে বিএনপিসহ কিছু দলের মনোবাসনা।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সনাতন ধর্মালম্বীদের শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘দুঃসময়ে, দুঃখ কষ্টে দুর্যোগে আওয়ামী লীগ সনাতন ধর্মালম্বীদের পাশে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে’’।’
এ সময় সনাতন ধর্মালম্বীদের উদ্দশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের নিজেদের কখনো সংখ্যালঘু মনে করা উচিত না। অন্যান্য ধর্মের মতো আপনারাও দেশের প্রথম শ্রেণির নাগরিক।’
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্মল চ্যাটার্জি, বাংলাদেশে অবস্থিত ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক মৃন্ময় চক্রবর্তী, ঢাকা মহানগর পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি মনিন্দ্র কুমার নাথ। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক শ্রী চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী। আলোচনা সভা শেষে এক বর্ণাঢ্য রথযাত্রা বের করা হয়।