৭ দফা দাবিতে আবারও সড়কে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা

Slider ফুলজান বিবির বাংলা


সাত দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় আন্দোলন স্থগিতের ১৬ দিন পর আবারও মাঠে নেমেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

আজ মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নীলক্ষেত অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে ওই এলাকার সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের হয়রানির প্রতিবাদ এবং সাত দফা দাবিতে তারা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন। দাবি আদায় না হলে অবরোধ ও লাগাতার কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও জানান তারা।

গত ৪ জুন সকালে আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে ইডেন মহিলা কলেজের ফটক অবরুদ্ধ করে। একইসঙ্গে ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য্যের সাথে সাত দফা দাবি নিয়ে দেখা করেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, স্মারকলিপি জমা দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত সেগুলো বাস্তবায়ন করা হয়নি। পরে আমরা আবারও তার সাথে দেখা করে সাত দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানাই। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এখনও একাডেমিক বৈঠকেও এসব দাবির বিষয়ে কোনপ্রকার আলোচনা করা হয়নি। তাই আজ আবারও নীলক্ষেত অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছি।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো:
১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের হয়রানির বন্ধ করতে হবে।
২. যে সব শিক্ষার্থী পরবর্তী বর্ষের ক্লাস, ইনকোর্স ও টেস্ট পরীক্ষা পর্যন্ত অংশগ্রহণ করার পর জানতে পেরেছেন নন-প্রমোটেড, তাদের সর্বোচ্চ তিন বিষয় পর্যন্ত মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষায় সুযোগ দিতে হবে।
৩. সব বিষয়ে পাস করার পরেও একজন শিক্ষার্থী সিজিপিএ সিস্টেমের জন্য নন-প্রোমোটেড হচ্ছেন। এজন্য সিজিপিএ শর্ত শিথিল করতে হবে।
৪. বিলম্বে ফল ঘোষণা করা চলবে না। সর্বোচ্চ তিন মাস (৯০ দিনের মধ্যে) ফল প্রকাশ করতে হবে।
৫. সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অভিভাবক কে বা কারা? কোথায় তাদের সমস্যা উপস্থাপন করবে? তা ঠিক করে দিতে হবে।
৬. অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন ও তা যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
৭. শিক্ষক ও ক্লাসরুম সংকট নিরসনে শিগগিরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয় ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এই কলেজগুলোতে প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী রয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *