অবিলম্বে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন শুরুর আহ্বান মিয়ানমারের মানবাধিকার কমিশনের

Slider সারাবিশ্ব

ঢাকা:অবিলম্বে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন শুরু করতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মিয়ানমারের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (মিয়ানমার ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন)। এ কমিশনের চেয়ার ইউ উইন ¤্রা বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে রাখাইনের মুসলিমদের প্রত্যাবর্তন নিয়ে যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছিল তা যত দ্রুত সম্ভব শুরু করা উচিত। এক্ষেত্রে এক পক্ষ অন্যপক্ষকে দোষারোপ না করে এ প্রত্যাবর্তন শুরু করার ওপর তাগিদ দেন তিনি। উল্লেখ্য, তিনি মানবাধিকার বিষয়ক জাতীয় প্রতিষ্ঠানের চেয়ার হলেও রোহিঙ্গাদেরকে রাখাইনের মুসলিম হিসেবে অভিহিত করেছেন। উচ্চারণ করেন নি রোহিঙ্গা শব্দটি।

এ খবর দিয়েছে অনলাইন মিয়ানমার টাইমস।
গত বছর সেদেশের সেনাবাহিনী নৃশংস নির্যাতন চালানোর ফলে কমপক্ষে ৭ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। তাদের প্রত্যাবর্তন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। কিন্তু প্রত্যাবর্তন শুরু হয় নি। প্রত্যাবর্তন শুরু না হওয়ার জন্য এক পক্ষ অন্যপক্ষকে দায়ী করছে। এর প্রেক্ষিতে ইউ উইন ¤্রা বলেন, কোন দেশ ওই চুক্তি বাস্তবায়ন করছে না বা কোন দেশ বিলম্ব করছে এসব নিয়ে কথা বলার চেয়ে সমঝোতা স্বারক কার্যকরভাবে, দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করা উচিত উভয় পক্ষের। পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে প্রত্যাবর্তন শুরু করা যায়।

উল্লেখ্য, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য দুটি অস্থায়ী ক্যাম্প খুলেছে। এর একটির তত্ত্বাবধান করছে অভিবাবস বিভাগ ও পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়। কিন্তু বাংলাদেশ প্রথম দফায় ফেরত পাঠানোর জন্য কমপক্ষে ৮০০০ রোহিঙ্গার যে তালিকা দিয়েছে তা যাচাই বাছাই করতেই মিয়ানমারের দীর্ঘ সময় লাগছে। তারা ওই তালিকার মধ্য থেকে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার নাম বাদ দিয়েছে এরই মধ্যে। সেই যাচাই বাছাই এখনও তাদের শেষ হয় নি। অথচ সিঙ্গাপুরে এক অনুষ্ঠানে দেশটির নেত্রী অং সান সুচি প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার জন্য বাংলাদেশকে দায়ী করেছেন। আর বাংলাদেশ বলছে মিয়ানমার ইচ্ছাকৃতভাবে এই প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া বিলম্বিত করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *