সাংবাদিক নাদিম হত্যা: অভিযুক্ত বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

Slider বাংলার আদালত


সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যায় অভিযুক্ত আটক বকশীগঞ্জের সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। শনিবার (১৭ জুন) দুপুরে বকশীগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম।

এর আগে সকালে পঞ্চগড়ের সীমান্তবর্তী এলাকা দেবীগঞ্জের চিলাহাটি ইউনিয়নের চর তিস্তাপাড়া থেকে তাকে আটক করা হয়। র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সংবাদ সম্মেলন করে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যায় অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৬ জুন) রাতে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূর শাহিনা বেগম ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইলের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাংবাদিক নাদিম হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে মাহমুদুল আলম বাবুকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো। কেনো তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, এ বিষয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে সাত দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: কেন পৃথিবী থেকে চাঁদ ধীরে ধীরে দূরে সরে যাচ্ছে?

অভিযুক্ত মাহমুদুল আলম বাবু চেয়ারম্যানের মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় বহিষ্কারের বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে গণমাধ্যমে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগম।

উল্লেখ্য, জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলার সাধুপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ আলম বাবুকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন বাংলানিউজের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি গোলাম রাব্বানী নাদিম।

গত বুধবার (১৪ জুন) রাতে পেশাগত দায়িত্বপালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জের পাথাটিয়ায় পৌঁছালে অস্ত্রধারী ১০ থেকে ১২ জন দুর্বৃত্ত নাদিমকে পিটিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

এরপর রাত ১২টায় সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *