পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশে মার্কিন নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বনে যে নির্দেশনা দিয়েছে দেশটির দূতাবাস, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাতার সফর নিয়ে আজ সোমবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক। আরও সাত আট মাস পর নির্বাচন হবে। তাদের জিজ্ঞেস করেন তারা কেন এই সতর্কতা দিলো। আমাদের দেশে হত্যা নেই, গুলি করে কাউকে মারা হয় না।’
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গতকাল রোববার সতকর্তা জারি করে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস। ঢাকাসহ সারা দেশে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরার পরামর্শ দিয়েছে তারা। মার্কিন দূতাবাস ‘ডেমোনস্ট্রেশন অ্যালার্ট’ শিরোনামে হালনাগাদ ভ্রমণ সতর্কবার্তায় এ পরামর্শ দিয়েছে
সতর্কবার্তায় বলা হয়, মার্কিন নাগরিকদের জন্য জারি করা ওই সতর্কবার্তা ঢাকা এবং বাংলাদেশের অন্য শহরগুলোর জন্যও প্রযোজ্য হবে। এতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ২০২৪ সালের জানুয়ারির আগে বা ওই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ওই নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলের সমাবেশ এবং অন্যান্য নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। সাধারণ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক সমাবেশ এবং বিক্ষোভের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়তে পারে এবং এগুলোর গতি তীব্রতর হতে পারে। সম্ভাব্য পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশে থাকা মার্কিন নাগরিকদের আগাম সতর্কতা মেনে চলা উচিত।
মার্কিন দূতাবাসের ওই বার্তায় বলা হয়, নাগরিকদের মনে রাখা উচিত, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ যে কোনো সময় সংঘাতময় হয়ে উঠতে পারে, এগুলো মুহূর্তের মধ্যে সহিংসতায় রূপ নিতে পারে। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন নাগরিকদের বড় সমাবেশ ও বিক্ষোভের স্থানগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। যে কোনো বড় সমাবেশের আশপাশে যাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। মার্কিন নাগরিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পরিকল্পনা পর্যালোচনা করতে হবে। স্থানীয় ঘটনাসহ আশপাশের পরিবেশ পরিস্থিতির বিষয়ে সচেতন থেকে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন নজরে রাখতে হবে।