রাজবাড়ীর পাংশায় দশম শ্রেণির ছাত্রীকে (১৬) বিয়ে দেওয়ায় তার বাবা আক্কাস মোল্লাকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া ওই ছাত্রীর ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বাবার বাড়িতে অবস্থান করাসহ পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে অঙ্গিকার নিয়েছেন। পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুরে এ ঘটনা ঘটে।
জাফর সাদিক চৌধুরী জানান, উপজেলার বাহাদুরপুরে আক্কাস মোল্লার দশম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে জোর করে বাল্যবিবাহ দেওয়া হচ্ছিলো। খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও পাংশা মডেল থানার পুলিশ ফোর্সসহ ওই বাড়িতে উপস্থিত হন। মেয়ের অভিভাবক ওই ছাত্রীর বয়স ১৯ বছর বলে দাবি করলে তৎক্ষনিক অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের কপি যাচাই করে দেখা হয়। এতে প্রমাণ হয়, ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে ছাত্রীর অভিভাবকরা যে জন্ম নিবন্ধন সনদ উপস্থাপন করেছে তা পুরোপুরি ভুয়া।
তিনি আরও জানান, বাড়ি তল্লাশি করে মেয়ের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার মডেল টেস্টের প্রবেশপত্র পাওয়া যায়। প্রবেশপত্র অনুযায়ী তার বয়স ১৫ বছর ৪ মাস হয়। পরে মেয়ের ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগে বিয়ে সম্পন্ন করায় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর ৮ ধারায় মেয়ের বাবা আক্কাস মোল্লাকে দোষী সাব্যস্ত করে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে মেয়ের ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত বাবার বাড়িতে অবস্থান করাসহ পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়টি নজরদারী করার জন্য বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে রাতেই বিবাহর কাজ সম্পন্ন করা স্থানীয় মোল্লাপাড়া মসজিদের ইমাম বারেক মোল্লার বাড়িতে গিয়ে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তিনি মোবাইল ফোন বন্ধ করে পলাতক রয়েছেন।