জনগণের সেবা ও উন্নয়নের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠন করে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। মহানগরের উন্নয়নের জন্য কয়েক হাজার কোটি টাকা বরাদ্ধও দেয়। নানা অনিয়ম দুর্নীতির কারণে দীর্ঘ ১০ বছরেও জনপ্রত্যাশা পূরণ হয়নি। কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নও হয়নি এ সিটিতে। এ নিয়ে সাধারণ জনগণের যে হতাশা রয়েছে তা কাটিয়ে তোলাই এ মুহূর্তে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া আজমত উল্লাহ খান।
তবে তিনি মনে করেন, এবার দল তাকে মনোনয়ন দেওয়ার সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ ১৮ বছর টঙ্গী পৌরসভার মেয়র ছিলেন তিনি। তার দীর্ঘ সময়ে রাজনীতি ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি দুর্নীতিমুক্ত থেকেছেন বলে দাবি করেন। এটা নিয়েই এখন মহানগরবাসী উজ্জীবিত হয়েছে বলে মনে করেন আজমত উল্লাহ খান।
আজ সোমবার আজমত উল্লাহ খান বলেন, এই সিটি করপোরেশনে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর বের হচ্ছে প্রথম থেকেই। দুর্নীতির অভিযোগ মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে শুরু করে উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। নানা ঘটনায় সাধারণ মানুষ স্বাভাবিকভাবেই হতাশ হয়ে নির্বাচন বিমুখ হয়ে পড়েছিল। তবে এবার সবার মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন, বর্তমান সরকার সবাই বলছেন এবারের নির্বাচন খুবই স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ হবে। এছাড়া নির্বাচন অংশগ্রহণমূলকও হবে বলে আমরা আশা করছি। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট হলে জয়ী হব।’
জেলার প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের মতে, তিনি যদি জয়ী হন তাহলে মূল চ্যালেঞ্জটা শুরু হবে নির্বাচনের পর। সেখানে নানা সমস্যায় জর্জরিত এলাকাগুলোর উন্নয়ন করাটাই হবে অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনা করে নগরের উন্নয়নের লক্ষ্যে তিনি সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছেন। তার নির্বাচনী ইশতেহারে জনগণের সামনে তা অচিরেই তুলে ধরবেন। তার বিশ্বাস পূর্ব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সে চ্যালেঞ্জেও তিনি জয়ী হবেন ।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ১১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৬৩ জন। তফসিল অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্ধ ৯ মে, আর ভোটগ্রহণ হবে ২৫ মে।