মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০০ জনে দাঁড়িয়েছে। এর আগে প্রাথমিকভাবে নিহতের সংখ্যা অর্ধশতাধিক বলে জানা গিয়েছিল। নিহতদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে।
সেনা শাসনের বিরোধীদের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া এসব মানুষের ওপর গতকাল মঙ্গলবার বোমা হামলা চালায় সামরিক বাহিনী। প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় গণতন্ত্রপন্থি গোষ্ঠীর সদস্য এবং মিয়ানমারের স্বাধীন মিডিয়ার বরাত দিয়ে আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এপি।
এপি বলছে, হামলার পর প্রাথমিক রিপোর্টে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৫৩ বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু পরে দেশটির স্বাধীন মিডিয়ার রিপোর্টে নিহতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১০০ জনে উন্নীত হয়েছে বলে জানানো হয়।
এপি বলছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য ঘটনাস্থলে প্রায় ১৫০ জন লোক জড়ো হয়েছিলেন এবং নিহতদের মধ্যে নারী ও ২০ থেকে ৩০ জন শিশুও রয়েছে।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নোবেলজয়ী নেতা অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই দেশটি বিশৃঙ্খলায় নিমজ্জিত। সামরিক বাহিনীর শাসন ব্যাপক সশস্ত্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। জান্তা সরকারের ক্ষমতার দুই বছর পেরিয়ে গেলেও তারা এখনও দেশটির বিশাল এলাকায় কর্তৃত্ব আরোপ করতে পারেনি। এমনকি বিরোধীদের দমনে বিমান ও ভারী অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হচ্ছে।
জাতিসংঘের তথ্য মতে, জান্তা সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে মিয়ানমারের কয়েক হাজার নাগরিক নিহত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে ১৪ লাখ বাসিন্দা। দেশটির মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশের সাহায্যের প্রয়োজন।
জান্তা বাহিনীর এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি)। এ হামলাকে বেসামরিকদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর চরম শক্তি ব্যবহারের আরেকটি উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করছে তারা। খবর: এপি