নির্বাচন বিষয়ে জাতিসঙ্ঘের প্রস্তাবে যা বললেন ফখরুল

Slider রাজনীতি


নির্বাচন নিয়ে জাতিসঙ্ঘের প্রস্তাব প্রসঙ্গ তুলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার যদি চায় জাতিসঙ্ঘ তা করতে পারবে। কারণ জাতিসঙ্ঘের নিয়ম আছে। যদি সরকার না চায়, তাহলে তারা করতে পারে না।

শুক্রবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোটের সাথে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, স্বাভাবিকভাবেই জাতিসঙ্ঘ চিন্তিত। বাংলাদেশে যে গণতন্ত্র ছিল তা চলে গেছে। নির্বাচনের মাধ্যমে ফিরে আসার যেটুকু সম্ভাবনা, সেটুকুও থাকবে না। যদি একইভাবে পুরনো কায়দায় নির্বাচন করে। সে কারণে জাতিসঙ্ঘ মনে করে বাংলাদেশের একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া উচিত। যেটা অতীতে হয়নি। সকলের অংশগ্রহণে একটি অংশীদারিত্ব নির্বাচন হওয়া উচিত। সে কারণেই তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ প্রস্তাব দিয়েছে, এটা তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

তিনি আরো বলেন, সরকার যদি চায় জাতিসঙ্ঘ তা করতে পারবে, সম্ভব হবে। কারণ জাতিসঙ্ঘের নিয়ম আছে যদি গভমেন্ট না চায়, তাহলে তারা করতে পারে না। কিন্তু আমরা স্বাভাবিকভাবে যা দেখতে পাচ্ছি, সরকারের যে লক্ষ্য, তারা আগের কায়দায় নির্বাচন করে, দেখিয়ে ক্ষমতায় যাবে। এটা সরকার পরিকল্পনা করেছে।

বঙ্গবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জন্য বিএনপিকে দায়ী করে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘প্রকৃত নিরপেক্ষ তদন্ত যদি হয় তাহলে সম্ভাবনা রয়েছে, বেরিয়ে আসার এটা সম্পূর্ণভাবে আওয়ামী লীগের দ্বারাই হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী শাসক গোষ্ঠীর প্রভাবশালী লোক তারা বঙ্গবাজারকে দখলের চেষ্টা করছেন। আওয়ামী লীগে যারা প্রভাবশালী তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।’

বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে ধরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, সরকারের দায়িত্ব বলে কিছু নেই। সারাদেশে যে দুঃসহ অবস্থা বিরাজ করছে। অন্যদিকে তারা জনগণকে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। ঈদের পরে আরো বৃহত্তর সর্বোপরি দেশের সমগ্র মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আমরা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বো। এটাই আমাদের লক্ষ্য।

বৈঠকে ১২ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনডিপি চেয়ারম্যান কারী মো: আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপা নেতা ইকবাল হোসেন, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল রকিব, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকট আবুল কাশেম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের যুগ্ম মহাসচিব মো: তফাজ্জল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *