অভিভাবককে পা ধরতে বাধ্য করার অভিযোগ সরিয়ে দেওয়া হলো বগুড়ার সেই বিচারককে

Slider টপ নিউজ

দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবককে বিচারকের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার অভিযোগে ছাত্রীদের সড়ক অবরোধ। ফাইল ছবি।দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবককে বিচারকের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার অভিযোগে ছাত্রীদের সড়ক অবরোধ। ফাইল ছবি।

দুই ছাত্রীর মাকে অপদস্থ করার অভিযোগ ওঠার পর বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিনকে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে বদলি করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের বদলি সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনকে বদলি করে আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এর আগে বগুড়ায় এক বিচারকের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীর মাকে অপদস্থ করার অভিযোগ ওঠে। এর প্রতিবাদে গত ২১ মার্চ বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।

এদিকে একই ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

প্রসঙ্গত, বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিচারকের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে সহপাঠীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত।

বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, “এই বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে বগুড়ার জজ আদালতের বিচারক রুবাইয়া ইয়াসমিনের মেয়ে। বিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা পালাক্রমে শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে থাকে। সোমবার ওই বিচারকের মেয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেওয়ার কথা ছিল। তবে নিজেকে বিচারকের মেয়ে পরিচয় দিয়ে সে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দিতে অস্বীকার করে। এ নিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়।

“ওই রাতেই বিচারকের মেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেসেঞ্জারে তার সহপাঠীদের কটাক্ষ করে পোস্ট দেয়। “ওই পোস্টে বিচারকের মেয়ের চার সহপাঠী পাল্টা উত্তর দেয়। এ নিয়ে ওই বিচারক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনকে মঙ্গলবার অভিভাবকদের ডাকতে বলেন।

এরপর ২১ মার্চ সকাল ১১টার দিকে প্রধান শিক্ষকের ডাকে ওই ৪ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে আসেন। সে সময় ওই বিচারক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জেলে দেওয়ার হুমকি দেন। এ সময় দুই অভিভাবককে ওই বিচারকের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়।

এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *