‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে ডান্ডাবেড়ি পরানো নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এবার ডান্ডাবেড়ি ছাড়াই তাকে আদালতে পাঠিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
আজ বুধবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলায় তাকে ডাণ্ডাবেড়ি ছাড়াই হাজির করা হয়। তবে তার পরনে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও মাথায় হেলমেট ছিল।
গত ১৭ জানুয়ারি একটি মামলায় আদালতে হাজির করা হয় ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীকে। তাকেও ডান্ডাবেড়ি, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট পরিয়ে আনা নেওয়া করা হয়। তাকে নিয়ে এ আবার কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে তাকে এ অবস্থায় দেখে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
বুধবার ডান্ডাবেড়ি ছাড়া আদালতে হাজির করার বিষয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের কোর্ট হাজতখানার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ডান্ডাবেড়ি, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট যা কিছু পরানো হয় তা কারা কর্তৃপক্ষ পরিয়ে পাঠায়। সেভাবেই আসামিদের আদালতে ওঠানো হয়।
এর আগে গত বছর ২০ নভেম্বর দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার নিম্ন আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে মেরে প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য আবু সিদ্দিক সোহেল ও মইনুল হাসান শামীমকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনার পর আসামিদের আদালতে তোলার ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে যায় পুলিশ। এরপর থেকে একাধিক মামলার কোনো আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে আনা, নেওয়া, এজলাসে তোলা, নামানোর সময় ডান্ডাবেড়ি পড়ানো হচ্ছে।
এদিকে আজ এ মামলায় ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালতে বাদশা নামে একজন সাক্ষ্য দেন। এদিনের পর আদালত আগামি ১৭ মে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন। রফিকুল ইসলাম মাদানীর আইনজীবী শোহেল মো. ফজলে রাব্বী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
২০২১ সালের ৭ এপ্রিল ভোরে রফিকুল ইসলাম মাদানীর গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা থেকে তাকে আটক করে র্যাব। পর দিন ৮ এপ্রিল রফিকুলের বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন র্যাব-১-এর নায়েব সুবেদার আব্দুল খালেক। মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। সেই থেকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে আছেন তিনি। ২০২১ সালের ৩০ জুন মাদানীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন র্যাব-১-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল হক।