অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফর আবার অনিশ্চয়তার চাদরে!

Slider খেলা

 

 

31e127b91a1ab2d3bbe41743357470bb-595618a7842a3

 

 

 

 

অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম লিখছে, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের ’ডুমস ডে’ অবশেষে চলেই এল! আজ চুক্তি নবায়নের শেষ দিন। অস্ট্রেলিয়ায় এখন দিন গড়িয়ে রাত। আজকের মধ্যে ক্রিকেটার ও বোর্ডের চুক্তি বা সমঝোতা হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই। কাল সকালে যখন ঘুম থেকে উঠবেন ডেভিড ওয়ার্নাররা, কার্যত তারা আর অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের ক্রিকেটার নন। কারণ বোর্ডের সঙ্গে কোনো চুক্তিই তাঁদের থাকবে না। যেটিকে সংবাদমাধ্যম বলছে, কাল থেকে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা হয়ে যাবেন বেকার!

এখন তাহলে কী হবে? এই প্রশ্নটা উঠেছে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে। যার সঙ্গে আরও কয়েকটি দেশের ক্রিকেটীয় স্বার্থও সম্পৃক্ত। যেমন কয়েক দিনের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়া ’এ’ দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করার কথা। এর পর অস্ট্রেলিয়া মূল দল টেস্ট খেলতে আসবে বাংলাদেশে। তার চেয়েও বড় কথা, এ বছরেই আছে অ্যাশেজ, যেটি অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ‘আইকনিক’ সিরিজ।
এর সবগুলো নিয়েই দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। কারণ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) সঙ্গে ক্রিকেটারদের সংগঠনের (এসিএ) এই বিরোধে শুধু জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা নন; সম্পৃক্ত সারা দেশের ক্রিকেটার। ফলে সিএর পক্ষে বিকল্প কোনো দলও তৈরি করা সম্ভব হবে না। আপাতত সবচেয়ে বড় সংকটে তাই পড়েছে অস্ট্রেলিয়া ’এ’ দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। এটিই সবচেয়ে সামনে বলে।
অস্ট্রেলিয়া ’এ’ দলে ডাক পাওয়া ক্রিকেটারদের সোমবার রিপোর্ট করার কথা। অস্ট্রেলিয়া ’এ’ দলের অধিনায়ক উসমান খাজাসহ আরও অনেক ক্রিকেটার আগের চুক্তির অধীনে ছিলেন, যে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে আজ। এরই মধ্যে এই সিরিজের পূর্ণ প্রস্তুতি সেরে রেখেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড। দুটি চার দিনের ম্যাচের পর এই সফরে একটি ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ হওয়ার কথা, যাতে যুক্ত হবে ভারতের ’এ’ দল। এর মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড মনীষ পাণ্ডেকে রেখে ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করে দিয়েছে। কিন্তু সবকিছু পড়ে গেল অনিশ্চয়তার মধ্যে।
বাংলাদেশ সফরের এখনো দেরি আছে। ১০ আগস্ট ক্রিকেটারদের ডারউইনে সমবেত হওয়ার কথা। সেখানে এক সপ্তাহের অনুশীলন শেষে ১৮ আগস্ট ঢাকার উদ্দেশে বিমানে উঠবেন স্টিভ স্মিথরা। এখনো প্রায় দেড় মাস সময় হাতে থাকলেও এই সফর নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
কারণ বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি না হলে খেলোয়াড়েরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বদলে ঘরোয়া লিগগুলোতে খেলবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। যার মধ্যে আইপিএল ছাড়াও আছে ক্যারিবীয় লিগ সিপিএল বা দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি লিগ। এর মধ্যে সিপিএল চলবে ৪ আগস্ট থেকে ১০ সেপ্টেম্বর, এর মধ্যেই আছে বাংলাদেশ সফরের সূচি। বাংলাদেশ সফর বাদ দিয়ে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা তাই সিপিএল খেলতে চলে যেতে পারেন।
এদিকে সিএ নিয়ম করে দিয়েছে, বোর্ডের অনুমতি ছাড়া এমনকি কোনো অগুরুত্বপূর্ণ প্রদর্শনী ম্যাচ খেললেও ক্রিকেটারদের নিষিদ্ধ করা হবে। যার কোপ গিয়ে পড়তে পারে নভেম্বরে শুরু আগামী অ্যাশেজের ওপর।
দুই পক্ষই তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ক্রিকেটারদের ছাড়া বোর্ড চলবে না, আবার বোর্ড ছাড়া ক্রিকেটাররাও অচল। কিন্তু দুই পক্ষই অনড় অবস্থানে আছে। এই অচলাবস্থা দ্রুত না কাটলে বাংলাদেশ সফর আবারও অনিশ্চয়তার চাদরে ঢাকা পড়বে। এমনিতেই এই সফর আগে এক দফা স্থগিত হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *