ইএসডিও-এসইপি প্রকল্পের ব্যবসায় উন্নয়ন ও বিপণনের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাথে আলোচনাসভা

রংপুর

এম এ কাহার বকুল, স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর: আজ ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ইং রোজ সোমবার ইএসডিও-এসইপি ফুল গ্রেইন চাল প্রকল্পের আওতায় ব্যবসায় উন্নয়ন ও বিপণনের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাথে আলোচনাসভা। ইকো-সোশ্যাল ডেভলপমেন্টে অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) এর সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট (এসইপি)-এর আওতাভুক্ত হাস্কিং মিলের ফুল গ্রেইন চালের ব্যবসায় উন্নয়ন ও বিপণনের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাথে আলোচনাসভা দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আমিনুল ইসলাম, চেয়ারম্যান, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর। সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিনাত রেহেনা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
সভার শুরুতেই সভাপতির অনুমতিক্রমে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইএসডিও-এসইপি-এফজিআরএম প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, স্বাগত বক্তব্যর শেষে প্রেজেন্টশনের মাধ্যমে প্রকল্পের অগ্রগতি উপস্থাপন করেন এম এ কাহার বকুল, এন্টারপ্রাইজ ডেভেলপমেন্ট অফিসার, ইএসডিও-এসইপি দিনাজপুর।

প্রকল্পের অগ্রগতি উপস্থাপন শেষে উন্মুক্ত আলোচনা করা হয়, উন্মুক্ত আলোচনায় মোঃ আব্দুল্লাহ আল হাবীব রায়, রাইস মিলার, ইএসডিও-এসইপি, দিনাজপুরে ফুল গ্রেইন চাল উৎপাদন পদ্ধতি ও নিয়মাবলী নিয়ে আলোচনা করেন এবং কিভাবে এই ফুল গ্রেইন চাল উৎপাদন করতে হবে তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা বরেন। তিনি ফুল গ্রেইন চাল উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ সম্পর্কে ও বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বিএসটিআই সার্টিফিকেট ইস্যুকরণ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, পণ্যর মোড়কজাত, বয়লার লাইসেন্স, পরিবেশ লাইসেন্স, ফুড সার্টিফিকেট নিয়ে আলোচনা করেন।
কৃষিবিদ মানিক চন্দ্র রায়, সিনিয়র বৈজ্ঞানিক অফিসার, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট দিনাজপুর প্রথমেই তিনি সকলকে নিরাপদ খাদ্য খাওয়ার জন্য এবং নিরাপদে চলার জন্য অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন অটোরাইস মিল সমূহ মোটা চালকে ছাটাই, পলিস করার মাধ্যমে চালের পুষ্টিগুন নষ্ট করে মিনিকেট চাল নামে চালের বর্জ্য বিক্রয় করিতেছে। যাহা স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর এবং রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে চালকে পলিস করার মাধ্যমে মানব শরীরে রোগ ব্যাধি সৃষ্টি হচ্ছে। অটোরাইস মিলের চাল চকচকে হওয়ায় সাধারণ মানুষ তা কিনতে আগ্রহী হচ্ছে। কিন্তু হাস্কিং মিলের চাল চকচকে না হওয়ায় সাধারণ মানুষ তা কিনছে না অথচ হাস্কিং মিলের চাল স্বাস্থ্য সম্মত। তিনি বলেন হাস্কিং মিল গুলোতে যদি ইকো বান্ধব ও পরিবেশ সম্মত উপায়ে ফুল গ্রেইন চাল উৎপাদন করা যায় তাহলে এই ফুল গ্রেইন চালের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়বে এবং মানুষ এই চাল ক্রয় করে খেতে আগ্রহী হবে বলে আমি মনে করি। তিনি বড় বাজার সম্পর্কে সবাইকে ধারণা দেন এবং এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি আরও বলেন হাস্কিং মিলের চাল নিরাপদ উপায়ে কিভাবে উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ করতে হবে তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি কৃষকদের মাটি পরীক্ষা করার জন্য বলেন এবং মাটি পরীক্ষা করার ফলে কৃষকরা কি কি উপায়ে লাভবান হবে সে বিষয়েও তিনি বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি পরিবেশ ও স্বাস্থ্য বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন কারণ বর্তমান সময়ে চোখ উঠা রোগের আবির্ভাব হয়েছে এবং সবাই কমবেশি এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সর্বোপরি তিনি ইএসডিও কে এই প্রকল্প গ্রহণের ধন্যবাদ জানান এবং সর্বাত্নক সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই প্রকল্পর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ফুল গ্রেইন চাল গ্রহণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যগত ভাবে উপকৃত হবে।
মোঃ হাফিজুর রহমান, ধান-চাতাল ব্যবসায়ী বলেন, অটো-রাইস মিলের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে হাস্কিং মিলগুলো লোকসানে পরে বন্ধ হয়ে গেছে, আমার নিজেরই হাস্কিং মিল বন্ধ করে দিতে হয়েছে, বর্তমানে হাস্কিং মিল ব্যবসায়ীরা অন্য পেশা অবলম্বন করছেন। এমতাবস্থায় আপনারা এমন কি সহযোগিতা করবেন যাতে করে আমাদের মিলগুলো পুনরায় চালু করতে পারি এবং মানুষ যেন আবার হাস্কিং মিলের চাল খায়।

প্রধান অতিথির বক্তব্য মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, ইএসডিও-এসইপি, ফুল গ্রেইন চাল, দিনাজপুরসহ সারা দেশে এর মার্কেটিং করতে হবে, কিভাবে এই চালের মার্কেটিং করতে হবে তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন অটোরাইস মিল সমূহ মোটা চালকে ছাটাই, পলিস করার মাধ্যমে চালের পুষ্টিগুন নষ্ট করে মিনিকেট চাল নামে চালের বর্জ্য বিক্রয় করিতেছে। যাহা স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর এবং রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে চালকে পলিস করার মাধ্যমে মানব শরীরে রোগ ব্যাধি সৃষ্টি হচ্ছে। অটোরাইস মিলের চাল চকচকে হওয়ায় সাধারণ মানুষ তা কিনতে আগ্রহী হচ্ছে। কিন্তু হাস্কিং মিলের চাল চকচকে না হওয়ায় সাধারণ মানুষ তা কিনছে না অথচ হাস্কিং মিলের চাল স্বাস্থ্য সম্মত। তিনি বড় বাজার সম্পর্কে সবাইকে ধারণা দেন এবং এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি আরও বলেন হাস্কিং মিলের চাল নিরাপদ উপায়ে কিভাবে উৎপাদন ও প্রকৃয়াজাতকরণ করতে হবে তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা বরেন। সর্বোপরি তিনি ইএসডিও কে এই প্রকল্প গ্রহণের ধন্যবাদ জানান এবং সর্বাত্নক সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই প্রকল্পর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ফুল গ্রেইন চাল গ্রহণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যগত ভাবে উপকৃত হবে।

সভাপতির বক্তব্যে জিনাত রেহেনা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, হাস্কিং মিলের চাল নিরাপদ উপায়ে কিভাবে উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ করতে হবে তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি কৃষকদের মাটি পরীক্ষা করার জন্য বলেন এবং মাটি পরীক্ষা করার ফলে কৃষকরা কি কি উপায়ে লাভবান হবে সে বিষয়েও তিনি বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি পরিবেশ ও স্বাস্থ্য বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। সর্বোপরি তিনি ইএসডিও কে এই প্রকল্প গ্রহণের ধন্যবাদ জানান এবং সর্বাত্নক সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই প্রকল্পর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ফুল গ্রেইন চাল গ্রহণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যগত ভাবে উপকৃত হবে। আর কোন আলোচনা না থাকায় তিনি উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্ত ঘোষনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *