আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে আইনি কোনো বাঁধা নেই। তিনি ঢাকায় বাসা থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশে যেতে পারবেন না- এ দুটি শর্তে সরকার কারাদণ্ড স্থগিত রেখে জামিন দিয়েছেন। সেই দুটি শর্তের মধ্যে রাজনীতি করতে পারবেন না, সেটি নেই। এ কারণে তিনি রাজনীতি করতে পারবেন।’
আজ শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের জমশেরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শত বছর উদ্যাপন অনুষ্ঠানে শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী। তিনি ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া দুটি দুর্নীতির মামলার আসামি ছিলেন। একটি মামলা বিচারিক আদালত পাঁচ বছর সাজা দিয়েছেন। একই মামলায় উচ্চ আদালত সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়েছে। অন্য একটি মামলায় পাঁচ বছর কারাদণ্ড হয়েছে। সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন করতে পারবেন না।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমি বলেছিলাম- বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুটি শর্তে মানবিক কারণে জামিন দেওয়া হয়েছিল। সেখানে রাজনীতি করতে পারবেন না, সেটি কোনো শর্ত ছিল না।’
সরকারের অন্য মন্ত্রীরা বলছেন খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন না, আপনি বলছেন রাজনীতি করতে পারবেন- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আনিসুল হক বলেন, ‘আমার সহকর্মীরা বলছেন যেহেতু শামীম ইস্কান্দার আবেদনে বলেছেন খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তাকে মাননিক কারণে জামিন দেওয়া প্রয়োজন। সরকার সংবিধানের ৪০১ (১) ধারায় দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে সরকার জামিন দিয়েছে। তাহলে তিনি কীভাবে রাজনীতি করবেন?’
জমশেরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শত বছর উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. নাছিরুল আলমের সভাপতিত্বে এবং প্রাক্তন ছাত্র ভিকারুননেছা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যাপক মো. বদিউল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম সারোয়ার, বিদ্যালয়ের ৭৬ ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শাহআলম, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জয়নাল আবেদীন, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র মীর্জাপুর ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ মো. সফিকুল ইসলাম, কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী, কসবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়াম্যান মো. মনির হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ছিদ্দিকা, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আবদুল আজিজ, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. এমরান উদ্দিন প্রমুখ। এতে বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী আমজাদ হোসেন।