সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছু বিষয়বস্তু আছে যা সম্পর্কের গতি ধরে রাখতে সহায়তা করে। সম্পর্কে সফলতার জন্য দুই পক্ষের ভূমিকাই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভালোবেসে যে সম্পর্ক দুজন মিলে উপভোগ করে, সেটিকেই সফল কিংবা সুন্দর সম্পর্ক বলা যেতে পারে। তাই সম্পর্কে যত্নশীল হওয়াটা জরুরি।
চলুন সম্পর্কে যত্নশীল হতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নিন-
সঙ্গীকে বোঝার চেষ্টা : সঙ্গীকে বোঝার চেষ্টা করুন। সঙ্গীর কাছ থেকে যা আশা করেন, আপনার সঙ্গীকেও তাই দিন। আপনি কী চাচ্ছেন, সেটি তাকে অবশ্যই জানান। দুজন দুজনকে বোঝার চেষ্টা করুন। সম্পর্ক সুন্দর রাখতে দুজনকেই চেষ্টা করতে হবে।
নিজেই নিজের সুখের উৎস খুঁজে নেওয়া : সুখ এমন একটা জিনিস যা নিজের কাছেই থাকে। নিজেকে সুখী রাখতে জানতে হয়। আপনি কি করলে খুশি হবেন তাতো আপনার থেকে ভালো কেউ জানবে না। আপনি যদি ভেবে থাকেন যে এটি আপনার সঙ্গীর দায়িত্ব, তাহলে এটি সম্পূর্ণ ভুল। আপনি নিজেই নিজের সুখ খুঁজে নিন, তাহলে কেউ কখনও আপনাকে অসুখী করতে পারবে না। তাই নিজের সুখের জায়গা খুঁজুন।
সঙ্গীর সেরা বন্ধু হন : মানুষ তার জীবনে একজন সেরা বন্ধুই খুঁজে বেড়ায়। মিলে গেলে জীবনের সব গল্পই তার সঙ্গে করে। আপনি আপনার সঙ্গীর সেরা বন্ধু হয়ে ওঠার চেষ্টা করুন। একজন বন্ধু যেমন সবসময় পাশে থাকে, ঠিক একইভাবে আপনিও একজন বন্ধুর মতো আপনার সঙ্গীর পাশে থাকুন। সঙ্গীর এমন বন্ধু হয়ে যান যেনো তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া সব ঘটনাই আপনাকে দ্বিধা ছাড়াই বলতে পারে।
রাগ নিয়ন্ত্রণ : রাগ এমন একটা জিনিস যা কমবেশি সবার মধ্যেই বিদ্যমান। তবে কি রাগটা নিয়ন্ত্রণ করতে জানতে হবে, তা না হলে সম্পর্কের ওপর তা খারাপ প্রভাব ফেলে। সঙ্গীর কোনো কাজ পছন্দ না হলে তার জন্য রেগে না গিয়ে সময় নিয়ে আলোচনা করুন।
নিয়মিত ভালোবাসা প্রকাশ : সঙ্গীর প্রতি যত্নশীল হন। ভালোবাসলে তা সঙ্গীকে প্রকাশ করতে দ্বিধা করবেন না। শুধু ভালোবাসি বলেই নয়, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমেও কিন্তু ভালোবাসা প্রকাশ করা সম্ভব। কিছু ছোট ছোট বিষয় থাকে যেগুলো খেয়াল রাখলে সম্পর্কে চির না ধরবে না বরং আরো সুন্দর হবে।
ব্যস্ততায় সন্দেহ : সঙ্গী কাজে ব্যস্ত থাকলে বা ফোনে ব্যস্ত পেলে তাকে সন্দেহজনক প্রশ্ন করবেন না। পরে সময় করে বিষয়টা জিজ্ঞেস করে জেনে নিতে পারেন, তবে সন্দেহ প্রবণ হবেন না। আপনার যদি মনে হয় আপানার সঙ্গী সন্দেহ করার মতন কিছু করছে তবে সেটা যাচাই করে সঠিকটা জেনে তবেই আলাপ করুন। সম্পর্কে সন্দেহ থাকলে তা নিয়ে আলোচনা করে তা মিটিয়ে নেওয়াই ভালো। এতে সস্পর্কটা ভালো থাকবে।
সঙ্গীর মা-বাবাকে সম্মান করুন : নিজেদের মধ্যে যতই কথা কাটাকাটি হোক, কখনোই সঙ্গীর মা-বাবাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করবেন না। এটা সম্পর্কের প্রতি অসম্মানের ইঙ্গিত দেয়। মনে রাখবেন, মা-বাবা যাই করুক না কেনো তাদের বিষয় বাজে কথা শুনতে কারোরই ভালো লাগবে না। মা-বাবা শ্রদ্ধার জায়গার, তাদের জায়গাটা নজরে রাখাও সঙ্গীর সঙ্গে আপনার সুন্দর সম্পর্কের আরেকটা কারণ।