মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে চিত্রনায়িকা পরী মণির বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম ৬ মাস স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে এ সময়ের মধ্যে মাদক মামলা বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিলের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
পরী মণির আইনজীবী শাহ মনজুরুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ২ জানুয়ারি পরী মণির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলা নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের বিষয়ে শুনানির দিন সোমবার ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
গত বছরের ৮ মার্চ পরী মণির বিরুদ্ধে হওয়া মাদক মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে চেম্বার জজ আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল পরী মণিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালত পরী মণির ব্যবহৃত গাড়ি, মোবাইল, ল্যাপটপসহ জব্দ করা ১৬টি আলামত তাকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন।
১৯ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালত পরী মণির একদিন, ১০ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাসের আদালত দুদিন এবং গত ৫ আগস্ট একই মামলায় পরী মণির ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ। তিন দফায় পরী মণিকে মোট ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
এর আগে ৪ আগস্ট রাতে প্রায় ৪ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বনানীর বাসা থেকে পরী মণি ও তার সহযোগীকে আটক করে র্যাব। তার বাসা থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয় বলে জানানো হয়। আটকের পর তাদের নেওয়া হয় র্যাব সদরদপ্তরে। পরে র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদক আইনে পরী মণির বিরুদ্ধে মামলা করে।