গাজীপুর: তুরাগ নদীর গাজীপুর তীরে গজারী কাঠ দিয়ে রাস্তার পাইলিং করার সময় অবৈধভাবে পাচার হওয়া ৯২টি গাজীপুর গাছ জব্দ হয়েছে। বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশে এসব কাঠ জব্দ হয়।
রোববার রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা বিট অফিস এসব মালামাল জব্দ করে। বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশে এসব মালামাল জব্দ করা হয় বলে জানিয়েছে চন্দ্র বিট অফিসার শরীফ আহমেদ।
সরেজমিন জানা যায়, তুরাগ নদীর তীরে বেশ কিছু দিন ধরে রাস্তার কাজে পাইলিং করার জন্য অসংখ্য গজারী কাঠ ট্রাকে করে কড্ডা এলাকায় তুরাগের তীরে আনা হয়। ইতোমধ্যে প্রায় দুই হাজার পাইলিং গজারী কাঠ দিয়ে করা হয়ে গেছে। আরো পাইলিং এর কাজ চলছে। প্রতিদিন গজারী বন থেকে কাঠ কেটে ট্রাকে করে কাঠ আনা হয় তুরাগের তীরে। তুরাগ তীরে কাঠ আনার সময় একাধিক চেকপোষ্ট থাকলেও কেউ ধরতে পারে না। কাঠা পাচারের রাস্তায় অবস্থিত কালিয়াকৈর বন বিভাগের চেকপোষ্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম চেকপোষ্টের দায়িত্বের পাশাপাাশি গাজীপুর বন আদালতের বন মামলা পরিচালক। দুটি দায়িত্ব থাকলেও তিনি বেশী সময় চেকপোষ্টে থাকেন। একটি গোপন সূত্র জানায়, টাঙ্গাইল জেলার কাঠ চোরাকারবারী জনৈক তোফায়েল আহমদ দীর্ঘদিন ধরে এই রুটে কাঠপাচার করে আসছেন। পাইলিং করার জন্য আনা গজারী কাঠগুলো টাঙ্গাইল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে গাজীপুরের তুরাগ নদীর তীরে আনা হয় বলে জানা গেলেও এ বিষয়ে জানতে রেজাউল করিমের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করে তাকে পাওয়া যায়নি।
অভিযান বিষয়ে ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা(ডিএফও) নুরুল আমিন জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এ সকল কাঠ জব্দ করা হয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন প্রক্রিয়াধীন।