‘পাকবাহিনী লুঙ্গি খুলে দেখতো হিন্দু না মুসলমান, এখন পুলিশ ফোন দেখে আ.লীগ না বিএনপি’

Slider রাজনীতি

গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেছেন, একাত্তর সালে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী মানুষকে উলঙ্গ করে দেখতো সে হিন্দু নাকি মুসলমান ঠিক একই কায়দায় সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মানুষের মোবাইল ফোন চেক করে দেখছে, সে বিএনপি নাকি আওয়ামী লীগ করে, যা ব্যক্তি স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে মানবাধিকার সুরক্ষার দাবিতে গণঅধিকার পরিষদের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় নুর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে বলেন, আপনারা সরকারের কথায় মানবাধিকার লঙ্ঘন করবেন না। আজকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস, এই দিবসটি সারাবিশ্বে পালন করে অথচ বাংলাদেশের মানুষের মানবাধিকার নাই।

নুর বলেন, সরকার ২০১৪ সালের বিনা ভোটের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে আর মানবাধিকারকে লাইফ সাপোর্টে পাঠিয়েছে। গত ১৩ বছর ধরে সরকারবিরোধী দলের অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে তারপরও গণতন্ত্রকামী মানুষের লড়াই থামাতে পারে নাই।

তিনি বলেন, আইসিইউতে থাকা গণতন্ত্রকে সেবা করে সুস্থ করার জন্য গণতন্ত্রকামী আপসহীন মানুষদের সঙ্গে নিয়ে আজকে মানবাধিকার দিবসেও রাজপথে নেমেছে তাই গণঅধিকার পরিষদ। আমরা আজকে আর্ন্তজাতিক দিবসে সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ত্রাস সৃষ্টি করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

নুর আরও বলেন, আপনারা দেখেন বিএনপি ৯টি বিভাগীয় সমাবেশ করেছে কোথাও তারা গাড়িতে একটা ঢিলও দেয়নি এমনকি বিন্দু পরিমাণ বিশৃঙ্খলা করেনি। এমন শান্তিপূর্ণ সমাবেশের নজির বাংলাদেশের ইতিহাসে গত ৫০ বছরে নেই। বিএনপি সারাদেশে বিভাগীয় সমাবেশ শেষ করে যখন ঢাকায় বিভাগীয় সমাবেশের ঘোষণা করেছে তখন সরকার নিজদের পতনের ভয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে সারাদেশে যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে। সরকার অঘোষিত হরতাল ঘোষণা করে পরিবহন বন্ধ করে মানুষকে দুর্ভোগে ফেলেছে, কষ্ট দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী যেভাবে হুমকি দিচ্ছেন হাত ভেঙে দেবেন, তার নেতাকর্মীরা যেভাবে ভয় দেখাচ্ছেন, তা কোনও সভ্য দেশের ঘটনা হতে পারে না। এসব করে পৃথিবীর কোনও দেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমন করা যায়নি, বাংলাদেশেও যাবে না। তাই এই স্বৈরাচারের পতন অনিবার্য।

গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হানিফ বলেন, সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে তল্লাশি ও ভাঙচুর চালিয়েছে যা মানবাধিকারের লঙ্ঘন। গত বছর এই দিনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে নিষেধাজ্ঞা এসেছিল, সরকার আরও মানবাধিকার লঙ্ঘন করতে থাকে তাহলে এদেশের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।

গণঅধিকার যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর খানের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মালেক ফরাজী, সহকারী আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ সিদ্দিকী। এসময় গণঅধিকার পরিষদ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *