পাতানো নাতনীকে ধর্ষণ, নানা গ্রেপ্তার

Slider নারী ও শিশু

58707_hc

 

 

শেরপুরের পাতানো নাতনীকে ধর্ষণের অভিযোগে কথিত নানা মর্তুজা মিয়াকে (৫৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার সকালে শেরপুর শহরের থানার মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে নকলা থানা পুলিশ। মর্তুজা নকলা উপজেলার বালিয়াদি গ্রামের বাসিন্দা। গত শনিবার রাতে আড়িয়াকান্দা গ্রামের ৫ম শ্রেণি পড়–য়া ওই স্কুল ছাত্রী এবং পাতানো নাতনীকে ধর্ষণ করে মতুর্জা।

ধর্ষিতার বাবা জানায়, তার মেয়ের সঙ্গে মর্তুজার পাতানো নানা-নাতনীর সম্পর্ক। শনিবার রাতে মর্তুজা তার স্ত্রী পরিবানুকে (৪৫) পাঠায় তার তার মেয়েকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। সরল বিশ্বাসে পরিবানুর সঙ্গে তার মেয়েকে বেড়াতে যেতে দিলে এলাকার সাহাপাড়া বাজারে পরিবানু তার স্বামী মর্তুজার হাতে মেয়েটিকে দিয়ে বাড়িতে চলে যায়। মর্তুজা শিশুটিকে রাতে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় মেয়েটির চিৎকার করলে, ‘তোকে টাকা দিব বাড়িতে কেউ যাতে না জানে’। আর যদি তোর বাবা মা জানে তাহলে তোকে মারধর করবে’ এ কথা বলে ভয়-ভীতি দেখিয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়। পরে গভীর রাতে মেয়েটি যন্ত্রণায় চিৎকার শুরু করলে এবং তার মা পরনের কাপড়ে রক্ত দেখে পরদিন সকালে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায়, ওই শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। রক্ত বন্ধ না হওয়ায় মেয়েটির শারীরিক অবস্থা অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শেরপুর সদর হাসপাতালে অবস্থার আরও অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ধর্ষিতাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ওই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মর্তুজা গাঁ ঢাকা দেয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোমবার সকালে মর্তুজাকে শেরপুর শহরের থানামোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান মর্তুজাকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *