তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপিকে সমাবেশের জন্য সরকারের পক্ষ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সোহরাওয়ার্দী উদ্যান তাদের পছন্দ নয়। তাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিকল্প হতে পারে পূর্বাচল বাণিজ্য মেলার মাঠ, টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার মাঠ কিংবা বুড়িগঙ্গার তীরের মাঠ।
আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশস্থল নিয়ে বিকল্প প্রস্তাব প্রসঙ্গে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, জনসভা তো হয় ময়দানে, ব্যস্ত রাস্তায় হয় না। রাস্তা বন্ধ করে জনসভা করা কোনো দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের কাজ না। বাংলাদেশের ইতিহাসে সব সময় বড় জনসভা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হয়েছে। কিন্তু সেটি তাদের পছন্দ না। তাদের শুধু রাস্তা পছন্দ, কারণ সেখানে গাড়ি ভাঙচুর করা যাবে এবং ২০১৩-১৪-১৫ সালের মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আগুন দেওয়া যাবে।
ড. হাছান বলেন, গতকাল চট্টগ্রামের জনসভায় লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ হয়েছে। পাঁচ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ছিল মানুষের সয়লাব। বিএনপির সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিকল্প হতে পারে পূর্বাচল বাণিজ্য মেলার মাঠ বা টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার মাঠ কিংবা বুড়িগঙ্গার তীরেও মাঠ আছে, সেখানেও হতে পারে।’
বিএনপির নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তারের অভিযোগের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ১ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিজয় দিবস, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, ইংরেজি নববর্ষ -এগুলো নিয়ে প্রতি বছরই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এগুলো নতুন কিছু নয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেও নয়। সারাদেশে রাজনীতির নামে যারা ২০১৩-১৪-১৫ সালে আগুন-সন্ত্রাস চালিয়েছিল, মানুষ হত্যার মহোৎসব করেছিল।