বাগেরহাটে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম ওরফে তানু ভূঁইয়া (৩৫) হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাসহ ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার বালিপাড়া এলাকায় হত্যার মূল হোতা ফরিদ শেখের ফুফুর বাড়ি থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।
রোববার দুপুরে বাগেরহাট পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক প্রেস ব্রিফিং করে আটকদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা বাগেরহাটে শহরের বাসাবাটি এলাকার টুটুল শেখের ছেলে ফরিদ শেখ (২৮), জামাল মিস্ত্রীর ছেলে মনির (২৬), আলী আকবরের ছেলে রাতুল শেখ, সোবহানের ছেলে সিরাজুল (২৭), এসমাইল শেখের ছেলে আলামিন (৩০), রুস্তমের ছেলে সুমন (২৬), বাসাবাটি কাড়াপাড়ার সোহাগ (২৫), পুর্ব বাসাবাটির মোসলেম শেখের ছেলে মুকুল শেখ (৫৩) ও বাসাবাটির মৃত সোবহান শেখের ছেলে কবির শেখ (৫০)।
তারা সবাই পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার বালিপাড়া এলাকায় ফরিদ শেখের ফুফুর বাড়িতে আত্মগোপন করেছিল বলে পুলিশ জানায়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দিবাগত রাতে ডিবি, ডিএসবি ও থানা পুলিশ যৌথভাবে আসামিদের আটক করে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সাড়ে ১০টার দিকে আটককৃতরা বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম ওরফে তানু ভূঁইয়াকে গুলি করে হত্যা করে।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানান।
এদিকে তানু ভূঁইয়ার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা বাগেরহাট সদর মডেল থানায় মোট ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো সাত থেকে আটজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।