ঢাকা: ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের মহাসমাবেশ শুরু হয় শুক্রবার (১১ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায়। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন এসে পৌঁছান, চারদিক থেকে মিছিল শ্লোগানে মুখরিত ছিল সমাবেশস্থল।
বিকেল পৌনে পাঁচটায় সরকার প্রধানের বক্তব্যের আগ পর্যন্ত চলে বিভিন্ন শ্লোগান। এ সময় সোহরাওয়ার্দী ঢুকতে অপেক্ষমাণ ছিলেন লাখো কর্মী-সমর্থক। কিন্তু সময় মতো তারা মাঠে ঢুকতে পারেননি। ক্ষোভ দেখা গেছে তাদের মধ্যে।
জানা গেছে, যুবলীগের ৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত মহাসমাবেশের মাঠে ঢুকতে টিএসসি ও রমনা মন্দিরের গেটে অপেক্ষা করছিলেন কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু গেট স্বল্পতায় তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করতে পারেননি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই মাঠে ১০ লাখ নেতাকর্মী-সমর্থকের সমাগমের ধারণা করছিল যুবলীগ। কিন্তু এত মানুষের জন্য সমাবেশস্থলের গেট করা হয় মাত্র ৫টি। যে কারণে, অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেলেও বহু নেতাকর্মী-সমর্থক মাঠের বাইরেই রয়ে যান। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
যশোর থেকে আসা মাসুদ হোসেন নামে যুবলীগের এক কর্মী বলেন, লাখ লাখ মানুষের জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মাত্র ৫টি গেট করা হয়েছে। এতদূর থেকে এসে নেত্রীকে সরাসরি দেখতেই পেলাম না। নেতাকর্মীরা এতো দূর থেকে এসে প্রবেশ করতেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। গেটের সংখ্যা এত কম কেন করা হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পাবনা জেলা যুবলীগের কর্মী শাহাদাত হোসেন।
এদিকে, সমাবেশে বিপুল জনসমাগম দেখে খুশি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যুবলীগ কথা দিয়ে কথা রাখে, এটা মহাসমুদ্র। কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম হয়েছে। এদিক সেদিকে যুব সমুদ্রের ঢেউ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর পেরিয়ে একদিকে গুলিস্তান, আবার আরেক দিকে ধানমন্ডি পর্যন্ত মিছিলের সারি গিয়ে ঠেকেছে। আশপাশের এলাকাগুলোতেও যুবলীগের নেতাকর্মীরা ভিড় করে ছিলেন। সবার হাতে ছিল দলীয় ও সংগঠনের পতাকা। জাতীয় পতাকা হাতেও ছিলেন অনেকে। যুবলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী-সমর্থকদের গায়ে ছিল বিভিন্ন রঙের টি-শার্ট, মাথায় ছিল ক্যাপ। যুব সমাবেশ সফল হোকসহ নানা স্লোগানে মিছিল নিয়ে তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসেন।
যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী পালন উপলক্ষে মহাসমাবেশে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল।