ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১২৭ রানে থামল বাংলাদেশ

Slider খেলা

জিতলেই সেমিফাইনালে, এই সমীকরণ নিয়ে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের ২৯তম ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনার আভাস দেয় বাংলাদেশের ওপেনাররা। কিন্তু একমাত্র শান্ত ছাড়া আর কেউই ভালো কোনো সংগ্রহ উপহার দিতে পারেনি দলকে। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান তুলে টাইগাররা। এতে পাকিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৮ রানের।

ভারতের বিপক্ষে তাণ্ডব চালানো লিটন এদিন ইনিংসের তৃতীয় ওভারে শাহীন শাহ আফ্রিদির বাউন্সারে ছক্কা মারেন। তবে সেই ওভারেই ফিরতে হয় বাঁহাতি এই ওপেনারকে। আফ্রিদির শর্ট ডেলিভারিতে সামনের পায়ে ভর করে কভার দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে থাকা শান মাসুদের হাতে ধরা পড়তে হয় ১০ রান করা লিটনকে।

লিটনের বিদায়ের এক বল পরই ফিরতে পারতেন শান্ত। মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে শাদাব খানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন তিনি। তবে ক্যাচটি নিতে পারেননি শাদাব। তাতে জীবন পান ১১ রানে থাকা শান্ত। এরপরই দারুণ জুটি গড়েন শান্ত ও সৌম্য সরকার। দেখেশুনে খেলে ৫২ রানের জুটি গড়ে তারা। এই দুজনের ব্যাটে দশ ওভারের মধ্যে ৭০ রান তোলে বাংলাদেশ।

Google News Channel24 অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
১০ ওভার পর্যন্ত সবই ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু ম্যাচের ১১তম ওভারে চিত্র বদলে যায়। শাদাব খানের করা সেই ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে ফিরে যান সৌম্য ও সাকিব। ১৭ বলে ২০ রান করা সৌম্য পয়েন্টে ধরা পড়েন শান মাসুদের হাতে। অপরদিকে গোল্ডেন ডাকের শিকার হন সাকিব।

শাদাব খানের বলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হন টাইগার কাপ্তান। যদিও বলটি সাকিবের ব্যাটে লেগে পায়ে লেগেছিল। আউট হওয়ার পর রিভিউ নেন সাকিব। শেষরক্ষা হয়নি। থার্ড আম্পায়ারও অন ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন।

সাকিবের বিদায়ের পর হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান নাজমুল হোসেন শান্ত। চলমান বিশ্বকাপে এটি তার দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। ক্যারিয়ারেরও দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি এটি। মাইলফলক উদযাপনের পর একটি চার হাঁকিয়ে (৫৪) অবশ্য ইফতেখার আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন শান্ত। ৯১ রানে তখন চার উইকেট নেই বাংলাদেশের।

এই খাদের কিনারা থেকে আর উঠতেও পারেনি তারা। ১৭তম ওভারে আবারও জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে ফিরে যান মোসাদ্দেক হোসেন (৫) ও নুরুল হাসান সোহান (০)। শেষ পর্যন্ত ২০ বলে ২৪ রান তুলে অপরাজিত থাকেন আফিফ হোসেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *