আজ থেকে বাস ও ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

Slider সারাদেশ


আসন্ন ঈদযাত্রায় রেলওয়ের অগ্রিম টিকিট আজ থেকে অনলাইনে বিক্রি শুরু হচ্ছে। এবার শতভাগ টিকিটই অনলাইনে মিলবে। কাউন্টারে কোনো টিকিট বিক্রি হবে না। প্রথমদিন বিক্রি হবে ১৭ এপ্রিলের টিকিট। একই দিনে বেসরকারি বাসের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে কোম্পানির কাউন্টার থেকে। এ ছাড়া আগামী রবিবার (৯ এপ্রিল) থেকে বিআরটিসি বাসের অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু হবে।

রেলওয়ের ঘোষণা অনুযায়ী, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম (১৭-৩০ এপ্রিল পর্যন্ত) টিকিট শতভাগ শুধুমাত্র অনলাইন বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ক্রয় করা যাবে। সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি চলবে। আজ ৭ এপ্রিল বিক্রি হবে ১৭ এপ্রিলের, ৮ এপ্রিল ১৮ এপ্রিলের, ৯ এপ্রিল ১৯ এপ্রিলের, ১০ এপ্রিল ২০ এপ্রিলের এবং ১১ এপ্রিল বিক্রি হবে ২১ এপ্রিলের ঈদযাত্রার টিকিট।

ঈদের ফেরত যাত্রার টিকিট বিক্রয় করা হবে ১৫ এপ্রিল থেকে। ১৫ এপ্রিল মিলবে ২৫ এপ্রিলের, ১৬ এপ্রিল ২৬ এপ্রিলের, ১৭ এপ্রিল ২৭ এপ্রিলের, ১৮ এপ্রিল ২৮ এপ্রিলের, ১৯ এপ্রিল ২৯ এপ্রিলের এবং ২০ এপ্রিল বিক্রয় হবে ৩০ এপ্রিলের ফিরতি যাত্রার টিকিট। ঈদ উপলক্ষে আন্তঃদেশীয় মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন ১৮-২৭ এপ্রিল পর্যন্ত এবং মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন ২০-২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে আন্তঃদেশীয় বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন যথারীতি চলাচল করবে। ঈদযাত্রা শুরুর দিন ১৭ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ঢাকাগামী একতা, দ্রুতযান, পঞ্চগড়, নীলসাগর, কুড়িগ্রাম, লালমনি ও রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রা বিরতি থাকবে না।

বিআরটিসির টিকিটি:

জানা গেছে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে ঈদ স্পেশাল সার্ভিস চালু করবে। এ উপলক্ষে রবিবার ৯ এপ্রিল থেকে বিআরটিসির মতিঝিল, জোয়ারসাহারা, কল্যাণপুর, গাবতলী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ বাস ডিপো (চাষাঢ়া) থেকে আগাম টিকিট বিক্রি হবে।

জানা গেছে, বিআরটিসির মতিঝিল ডিপোর অধীনে ঢাকা-খুলনা, দাউদকান্দি, ডামুড্যা, খাসেরহাট, দিনাজপুর, রংপুর-নেত্রকোনা রুটে গাড়ি চলে। কল্যাণপুর বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে ঢাকা-ভাঙ্গা, রংপুর, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, নওগাঁ, নেত্রকোনা, রানীশংকৈল, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর রুটে চলাচল করে। গাবতলী ডিপোর অধীনে ঢাকা-ভাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, দশমিনা (পটুয়াখালী), আরিচা, রংপুর, দিনাজপুর, আরিচা ও পাটুরিয়া-যশোর রুটের বাস। জোয়ারসাহারা ডিপোর আওতায় ঢাকা-পয়সারহাট, পাঁচদোনা, রংপুর, নওগাঁ, জয়পুরহাট, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ও বগুড়া রুটের বাস চলে।

মিরপুর ডিপোর অধীনে চলে ঢাকা-বরিশাল, রংপুর, কুষ্টিয়া, বগুড়া, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ ও নওগাঁর গাড়ি। যাত্রাবাড়ী বাস ডিপোর অধীনে ঢাকা-রংপুর, শরীয়তপুর রুটের এবং নারায়ণগঞ্জ ডিপোর আওতায় ঢাকা-গোসাইরহাট, রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী, নওগাঁ, বগুড়া, গাইবান্ধা ও পাবনা রুটের বাস চলে। বিআরটিসির নরসিংদী বাস ডিপোর অধীনে চলে নরসিংদী-মাদারীপুর, চরমুগুরিয়া ও রংপুর রুটের বাস। এ ছাড়া আগামী ১৮ এপ্রিল ঢাকার বিভিন্ন ডিপো/টার্মিনালে জরুরি বাস সার্ভিসের জন্য ৬০টি বাস স্ট্যান্ডবাই থাকবে। এ ডিপোগুলো হচ্ছে- সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, মিরপুর-১২ নম্বরে মিরপুর বাস ডিপো, কল্যাণপুর বাস ডিপোর, মোহাম্মদপুর বাস ডিপো, গাজীপুর চৌরাস্তা, হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ড এবং চন্দ্রা বাসস্ট্যান্ড।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *