আজ বিজিবি-বিজিপি পতাকা বৈঠক

Slider সারাবিশ্ব

বান্দরবান ও কক্সবাজার সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের যুদ্ধ চলছে বেশ কয়েক মাস ধরে। তাদের গোলাগুলি সীমান্তের এপারে বাংলাদেশী জনপদে এসে পড়ছে। এরই মধ্যে মিয়ানমারের মর্টার শেলে বাংলাদেশে প্রাণহানি ঘটায় সীমান্ত এলাকায় বিরাজ করছে উত্তেজনা ও আতঙ্কের পরিবেশ। এই অবস্থায় উত্তেজনা নিরসনে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। আজ রোববার সকাল ১০টায় কক্সবাজারের টেকনাফে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার গণমাধ্যমকে বলেন, গত কয়েকমাস ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান গোলাগুলিকে কেন্দ্র করে সীমান্তে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এতে বাংলাদেশ সীমান্তের বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। সীমান্তের এ পরিস্থিতি নিয়ে শুরু থেকে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে নানা পর্যায়ে যোগাযোগ চলছিল। একাধিকবার বিজিপির কাছে চিঠি পাঠানোও হয়েছে।

এর প্রেক্ষিতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছে। মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা শুরু গত আগস্টে। প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে শুরু হয় ব্যাপক গোলাগুলি ও মর্টার শেল বিস্ফোরণ।

২৮ আগস্ট মিয়ানমারের ছোঁড়া দুটি মর্টার শেল এসে পড়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে। তবে বিস্ফোরিত না হওয়ায় কেউ হতাহত হয়নি। ৩ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যুদ্ধ বিমান থেকে ছোঁড়া আরও দুটি মর্টার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে পড়ে।

একইদিন বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষে উড়ে যায় মিয়ানমারের যুদ্ধ বিমান ও ফাইটিং হেলিকপ্টার। যার কারণে সীমান্তের বাসিন্দাদের মধ্যে বাড়ে আতঙ্ক।

সবশেষ গত ২৩ অক্টোবর নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নতুন করে শুরু হয় ব্যাপক গোলাগুলি ও গোলাবর্ষণ।

এরপর থেকে গোলাগুলী বন্ধ থাকলেও সীমান্তের বাসিন্দাদের আতঙ্ক কাটেনি। বিজিবি আশা করছে, পতাকা বৈঠকের মধ্যদিয়ে সীমান্ত-উত্তেজনা প্রশমিত হবে। সম্পাদনা: খালিদ আহমেদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *