সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়ে আক্ষেপ করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টা ৪৩ মিনিটে আক্ষেপে ভরা ওই পোস্ট দেন তিনি।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি কলঙ্কময় জেল হত্যা দিবস হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। তবে জাতীয় চার নেতা আজ অবধি রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি না পাওয়ায় ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন সোহেল তাজ।
সোহেল তাজ তার পোস্টে লিখেন, ‘আগামী ৩ নভেম্বর কলঙ্কময় জেল হত্যা দিবস। দেখতে দেখতে ৪৭ বছর পার হয়ে গেল অথচ এখন পর্যন্ত জাতির এই ৪ বীর যাদের নেতৃত্বে সফলভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হলো, যাদের নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেলাম এবং যাদের প্রচেষ্টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে বাংলার বুকে ফিরে পেলাম- আজ অবধি রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের কোনো স্বীকৃতি নাই। এটা মেনে নেওয়া যায় না!’
এজন্য সোহেল তাজ তিনটি দাবিও উত্থাপন করেছেন। তার দাবিগুলো হচ্ছে-
১. যেহেতু ১০ই এপ্রিল, ১৯৭১ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয় সেহেতু বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্ম লাভ করে তাই এই দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করতে হবে।
২. ‘৩রা নভেম্বর’ জেল হত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে।
৩. জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম , অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সাথে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
‘আমি মনে করি, আমার এই তিন দাবি ন্যায্য ও যৌক্তিক এবং এটা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকলের প্রাণের দাবি। সেই লক্ষ্যে আমার পরবর্তী কর্মসূচি- আগামী সোমবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে (মানিক মিয়া এভিনিউ) সমাবেশ এবং জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান
এই সমাবেশে স্বাধীনতা/মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকলকে অংশগ্রহণ করার জোর আহবান জানাচ্ছি। বি. দ্র. শোক দিবস একাধিক হতে পারে যেমন- ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৪ ডিসেম্বর।’