তিন উপকেন্দ্র বন্ধ, বিদ্যুৎ নেই ঢাকার অনেক এলাকায়

Slider ঢাকা


ঝড়ো হাওয়ায় গাছ পড়ে ছিঁড়েছে বিদ্যুতের তার, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ট্রান্সফরমার। একইসঙ্গে তিন উপকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়া রাজধানীর বহু এলাকা এখন বিদ্যুৎবিহীন। যাদের আছে তারাও ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন। এদিকে দুই বিতরণ কোম্পানি জানায়, মেরামতের কাজ চলছে। ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টির কারণে সময় বেশি লাগতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে সোমবার ঢাকায় দিনভর ঝড়ো হাওয়া বৃষ্টি। সকালের দিকে বৃষ্টি কম হলেও দুপুরের পর বাড়তে থাকে। সন্ধ্যার পর ঝড়ো হাওয়া আর ভারী বৃষ্টিতে ডুবে যায় রাজধানীর বহু সড়ক।

ঢাকার দুই বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি ডিপিডিসি ও ডেসকো সূত্র জানায়, সন্ধ্যার পর ঝড়ো হাওয়ায় শহরের বিভিন্ন এলাকায় গাছ পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায়, ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশকিছু। এদিকে উলন, মানিকনগরসহ ডিপিডিসির বেশ কিছু এলাকায় উপকেন্দ্রও বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে রাজধানীর রামপুরা, বনশ্রী, দক্ষিণ বনশ্রী, মোহম্মদপুর, উলন, উত্তরা, মিরপুর, গুলশানসহ অনেক এলাকার বেশকিছু জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

উত্তরার বাসিন্দা রোখসানা জানান, আজ সন্ধ্যার পর থেকে বার বার বিদ্যুৎ যাচ্ছে। টানা বিদ্যুৎ পাইনি একবারও। মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা শাহনাজ বেগম জানান, প্রায় ৫ ঘণ্টা হয়েছে এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। কন্ট্রোল রুমে ফোন দিয়েও কাউকে পাননি তিনি। বনশ্রী থেকে জাহিদুর রহমান জানান, দুই ঘণ্টা হলো বিদ্যুৎ নেই। কখন আসবে কেউ বলতে পারছে না। এদিকে শান্তিনগর, উত্তরার দিকে ট্রান্সফরমার ব্লাস্টের আওয়াজ পেয়েছেন অনেক গ্রাহক।

ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, ঝড়ো হাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে তারের। বহু এলাকায় গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে গেছে। এদিকে বেশ কিছু ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়েছে। এছাড়া পিজিসিবির অধীন উলন, মানিকনগর এবং শ্যামপুর উপকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। এখন আমরা মেরামতের কাজ করছি। ঝড়ের কারণে কাজের গতি কম। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত করতে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওসার আমীর আলী বলেন, আমাদের উত্তরা, মিরপুর এবং গুলশানের বেশ কিছু এলাকায় গাছ পড়ে তারের ক্ষতি হয়েছে। বেশ কয়েকটি ট্রান্সফরমার জ্বলে গেছে। মেরামতের কাজে শুরু করেছি আমরা। একে একে বিভিন্ন এলাকায় ফিরতে শুরু করেছে বিদ্যুৎ। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *