গাজীপুর: ভাওয়াল গড় রক্ষায় গণমাধ্যম সোচ্চার এটা বলতে হবে। ইতোমধ্যে জনপ্রিয় বেশ কিছু গণমাধ্যমে গাজীপুরে বন দখল ও কাঠ পাচারের খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রচার ও প্রকাশ হয়েছে। তবুও থামছে না বন দখল। মাঝে মাঝে স্থানীয় বন কর্মকর্তা বনের জায়গায় নির্মিত নতুন ঘর ভাঙছে আবার কিছু বিরতি দিয়ে আবার কাজ শুরু হয়েছে। কিছু কিছু ঘর উঠছে আর উঠছে। বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশেও ভাঙছে না ওই সব ঘর ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শ্রীপুর রেঞ্জের সাতখামইর বিট অফিসের অধীনে সিএস ১৯৬১ নং দাগে মজিবর রহমান ও মাসুম নামে দুই ব্যক্তি বনের জায়গায় বাড়ি নির্মান করছেন। স্থানীয় বিট অফিস রহসজনক কারণে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। জানা গেছে, ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশ পেয়েও আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে না বিট অফিস। ফলে বাড়ি দুটি নির্মান হয়ে গেছে। কালিয়াকৈর রেঞ্জে কালামপুর এলাকায় কালিয়াকৈর পৌরসভার কাউন্সিলর আবুল কাশেমের বাড়ি বন্ধ করতে করতে নির্মানই শেষ। এই ধরণের উদাপহরণ গাজীপুর জেলায় অসংখ্য।
যারা বন রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত তারাই বন দখলে সহযোগিতা করছেন।
এ বিষয়ে দৈনিক যুগান্তরের শ্রীপুর প্রতিনিধি আব্দুল মালেক জানান, মাসুম তার ব্যাক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেন। সকল রেকর্ড থাকার পরও বন জমি দাবী করছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে সাতখামাইরের বিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ফজলুর রহমানকে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। কিছুক্ষন পর ফোন করে জানান, এই দুটি বাড়ির বিষয়ে অসংখ্য রিপোর্ট হচ্ছে। বিষয়টি বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মহোদয় অবগত আছেন। খুব দ্রুতই প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শ্রীপুরে রেঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী বন সংরক্ষক রানা দে বলেছেন, সরকারী নির্দেশের অপেক্ষায় আছি। ওই দুটি বাড়ির কাজ বন্ধ আছে। তবে আবার কাজ চলছে কি না খোঁজ নিচ্ছি।
এসব বিষয়ে ভাওয়াল গড় বাঁচাও আন্দোলনের মহাসচিব ড. এ কে এম রিপন আনসারী বলেছেন, বন রক্ষায় উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। না হলে বন রক্ষা আর সম্ভব নয়।
ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নুরুল আমিন গণমাধ্যমকে বলেছেন, অভিযোগ পেলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।