ভোলার সীমান্তবর্তী মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদীতে গত এক সপ্তাহ ধরে ঝাঁকে ঝাঁকে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে রুপালি ইলিশ। মাছের ঘাটগুলো জমে উঠায় বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসছে মৎস্য ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা। ঘাটগুলোতে হাক ডাকে বিক্রি হচ্ছে এ সব ইলিশ। তবে বড় ইলিশের চেয়ে জেলেদের জালে ছোট ইলিশই বেশি ধরা পড়ছে। স্থানীয় ক্রেতাদের অভিযোগ এ সব ইলিশ মাছের দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় তারা অনেকে কিনতে পারছেন না।
মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদীর তীরের মাছের ঘাটগুলো ঘুরে দেখা যায়, পাইকারিভাবে বড় ইলিশের হালি ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা, মাঝারিগুলো হালি ২ হাজার হতে আড়াই হাজার টাকা এবং ছোট ইলিশের হালি ৪০০ হতে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছ ভালো দামে বিক্রি হওয়ায় খুশি জেলেরা। তবে খুশি হতে পারছেন না স্থানীয় ক্রেতারা। দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় তারা অনেকে ইলিশ মাছ কিনতে পারছেন না।
মেঘনার হাকিমুদ্দিন নতুন ঘাটের আলম মাঝি, মির্জাকালু ঘাটের রহিম মাঝি, ইউনুছ মাঝি ও তেতুঁলিয়া নদীর কবির হোসেন মাঝি জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে জালে ইলিশ বেশি ধরা পড়ছে। তবে বড় ইলিশের চেয়ে ছোট ইলিশই জালে বেশি ধরা পড়ছে। মাছ ঘাটে ইলিশ মাছ নিয়ে আসলে দ্রুত বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। পূর্জার কারণে ইলিশ মাছের দামও একটু ভালো পাচ্ছেন তারা। এ রকম কয় দিন জালে ইলিশ পেলে তাদের সংসার চালাতে আর সমস্যা হবে না।
ইলিশ মাছ কিনতে আসা মো. ছোবাহান হাওলাদার বলেন, ‘মেঘনা নদীর মির্জাকালু ঘাটে কম দামে ইলিশ কেনার আশায় গিয়েছিলাম। জেলেরা যে মাছ নিয়ে আসে সেখানের বড় ইলিশগুলো বেশি দামে কিনে নিচ্ছেন দালালরা। তারা বেশি দামে ইলিশ কেনায় আমরা পছন্দ অনুযায়ী মাছ কিনতে পারছি না।’
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্ল্যাহ জানান, ইলিশের ভরা মৌসুম চলছে। সাগর থেকে প্রচুর ইলিশ নদীতে আসছে। ওই ইলিশ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে। ইলিশের দামও ভালো পাচ্ছেন তারা। এতে জেলেরা বিগত দিনের দেনা পুষিয়ে নিতে পারবে।