চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী নেহালউদ্দিন বালিকাউচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র সচীবসহ তিন শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ দেন দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের সদস্য উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালীক চৌধুরী। এরপরই তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচীব লুৎফর রহমান, একই বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক রাসেল আহমেদ এবং ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক জোবায়ের ইসলাম।
এর আগে সোমবার ইংরেজি প্রথমপত্র ও মঙ্গলবার ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ ওঠে ওই বিদ্যালয়ে কেন্দ্র থাকার সুবাদে কেন্দ্র সচীব এবং ওই দুই শিক্ষক প্রশ্নপত্র সর্টিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন। এসময় তারা ওই প্রশ্নপত্র গোপনে নিয়ে যান এবং নিজেদের শীক্ষার্থীদের পরীক্ষার আগের দিন হাতে লিখে সরবরাহ করেন।
এদিকে হাতের লেখা সেই প্রশ্নপত্র হোয়াটস অ্যাপে ৫০০ টাকার বিনিময়ে বিক্রিরও অভিযোগ ওঠে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি নিয়ে অন্যান্য স্কুলের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। পরে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
অনুসন্ধানে প্রশ্নফাঁসের সত্যতা পাওয়া গেলে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ভূরুঙ্গামারীতে আসেন দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের চেয়াম্যান প্রফেসর কামরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম। উপজেলা নির্বাহীর কক্ষে গভীর রাত পর্যন্ত চলে তাদের রুদ্ধদার বৈঠক।
সহকারী পুলিশ সুপার (ভূরুঙ্গামারী-কচাকাটা সার্কেল) মোরশেদুল হাসান জানান, শিক্ষা বোর্ডেরও অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়েছে।