আজ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

Slider জাতীয়


দেশের প্রথম সেন্টার বেইজড সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের উদ্বোধনকে ঘিরে বিএসএমএমইউ ক্যাম্পাসে এখন সাজ সাজ অবস্থা বিরাজ করছে। আজ বুধবার ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ৭৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন, বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহম্মেদ, সম্মানিত অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখবেন, লি জ্যাং কিউন, রাস্ট্রদূত রিপাবলিক অব কোরিয়া। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখবেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব ও বক্তব্য রাখবেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এ হাসপাতালে থাকছে ৭৫০ বেড। এর মধ্যে থাকবে ১০০টি আইসিইউ ও ১০০টি ইমার্জেন্সি বেড। হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. জুলফিকার রহমান খান বলেন, বিশেষ এ হাসপাতালের চিকিৎসা খরচও থাকবে জনসাধারণের হাতের নাগালে।

এক ছাদের নিচে সর্বাধুনিক সব সেবা পাওয়া যাবে। একই হাসপাতালে বহুমুখী বিশেষায়িত চিকিৎসা চলবে। এ ধারণা থেকেই প্রস্তুত করা হচ্ছে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটি। ১৩ তলাবিশিষ্ট হাসপাতালটির রয়েছে দ্বিতল বেজমেন্ট। ৭৫০ শয্যার হাসপাতালে বিভিন্ন বিভাগে থাকছে ১৪টি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার, ১০০ শয্যার আইসিইউ।

জরুরি বিভাগে থাকবে ১০০ শয্যা, ভিভিআইপি, ভিআইপি কেবিন। ডিল্যাক্স শয্যা ২৫টি। হাসপাতালটিতে এক্স-রে, এমআরআই, সিটি-স্ক্যানসহ অত্যাধুনিক সব ডায়াগনস্টিক সুবিধাও রাখা হয়েছে। আছে পাঁচটি স্পেশালাইজড সেন্টার। জরুরি বিভাগ, কার্ডিয়াক সেন্টার, লিভার ও কিডনি প্রতিস্থাপন ইউনিট এবং মা ও শিশুর ইউনিট। আর সর্বাধুনিক রোবোটিক সার্জারি।

বিশেষায়িত এ হাসপাতালটি পরিচালনার জন্য চিকিৎসকসহ প্রায় ৬১০জন স্বাস্থ্যকর্মীকে উন্নত প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত করে তোলা হচ্ছে।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট এ হাসপাতালে করা যাবে। এখানে সেন্টার বেজ কাজ হবে, যেমন মা ও শিশুদের জন্য একটা সেন্টার থাকবে, নেফেরোলজির জন্য একটা সেন্টার থাকবে, কিডনি ডায়ালাইসিস এ ধরনের সব সেন্টার রয়েছে। যদিও নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে হাসপাতালটি, কিন্তু এখানে খরচ বেশি হবে না। এখানে ধনী ও গরিবদেরও চিকিৎসা হবে।

২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি উপস্থিত হয়ে এই হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে হাসপাতাল নির্মাণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *