প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে যত প্রাপ্তি

Slider সারাবিশ্ব


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে চার দিনের সরকারি সফর শেষ করেছেন। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভারতের রাজস্থানে আজমীর শরিফে সুফি সাধক হজরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির (রহ.) দরগাহ জিয়ারত ও মোনাজাতের মাধ্যমে সফর শেষ করেন তিনি। এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।

এবারের ভারত সফর ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও একান্ত বৈঠক করার পাশাপাশি অভিন্ন সীমান্ত নদী কুশিয়ারা থেকে ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহারসহ ভারতের সঙ্গে সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এছাড়া আরও বেশকিছু প্রাপ্তি নিয়েই এ সফর শেষ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে:

১. তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানিতে ফ্রি ট্রানজিট দেবে ভারত।
২. কুশিয়ারা নদীর পানিবণ্টনে সমঝোতা, ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্তে চাষাবাদে আসবে ব্যাপক পরিবর্তন।
৩. ভুটানের সঙ্গে রেল যোগাযোগ ও অন্যান্য আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগে বিভিন্ন বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হবে।
৪. চিনি, পেঁয়াজ, আদা, রসুনের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য রফতানি বন্ধের আগে বাংলাদেশকে আগাম জানিয়ে দিতে পদক্ষেপ নেবে ভারত।
৫. সীমান্তে প্রাণহানির সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করতে সম্মত হয়েছে ভারত ও বাংলাদেশ।
৬. বাংলাদেশের মুজিবনগর থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত ঐতিহাসিক ‘স্বাধীনতা সড়ক’ চালু করা হবে।

৭. নদীদূষণ এবং অভিন্ন নদ-নদীর ক্ষেত্রে নদীর পরিবেশ এবং নদীর নাব্য উন্নত করার মতো সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করা হবে।
৮. রেলওয়ের সেবার মান বাড়াতে আইটি সল্যুশন বিনিময় করা হবে।
৯. ২০২২ সালের মধ্যে সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি নিয়ে দুদেশের বাণিজ্য কর্মকর্তাদের কাজ শুরু করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এদিকে ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বা গুরুতর আহত ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর অফিসারদের বংশধরদের ‘মুজিব বৃত্তি’ দেয়ার অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *