যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে তিনজনের শরীরে ওমিক্রনের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। নতুন এ ভ্যারিয়েন্টের নাম দেয়া হয়েছে বিএ ২.৭৫।
রোববার জিনোম সেন্টারের একদল গবেষক যশোরের আক্রান্ত তিন ব্যক্তির কাছ থেকে সংগৃহীত ভাইরাসের আংশিক (স্পাইক প্রোটিন) জিনোম সিকুয়েন্সের মাধ্যমে ওমিক্রনের নতুন এই উপধরনটি শনাক্ত করেন।
মঙ্গলবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো: আব্দুর রশিদ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জিনোম সেন্টারের একদল গবেষক করোনাভাইরাস আক্রান্ত তিনজনের সংগৃহীত নমুনা থেকে ভাইরাসের আংশিক (স্পাইক প্রোটিন) জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে ওমিক্রন ধরনের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করেছেন।
আক্রান্তদের তিনজন পুরুষের মধ্যে একজনের বয়স ৫৫ ও বাকি দু’জনের বয়স ৮২ বছর। তাদের মধ্যে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, অন্যরা নিজ বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আক্রান্তদের শরীরে জ্বর, গলাব্যথা, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন উপসর্গ রয়েছে।
গবেষক দলটি আরো জানায়, বিএ ২.৭৫ সাব ভ্যারিয়েন্টের স্পাইক প্রোটিনে ওমিক্রনের বিএ- ২ ভ্যারিয়েন্টের মতোই মিউটেশন দেখা গেছে।
ওমিক্রনের এই সাব ভ্যারিয়েন্টটি প্রথম শনাক্ত হয় জুলাই মাসে। গত আগস্টে সাব ভ্যারিয়েন্টটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শনাক্ত হয়। আগামীতে এই সাব ভ্যারিয়েন্ট বর্তমানে অন্যান্য সাব-ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় বেশি সংক্রমণ ঘটাতে পারে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা।
যবিপ্রবির উপাচার্য ও জিনোম সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন জানান, সাব-ভ্যারিয়েন্ট মানুষের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দূর্বল করে দিতে সক্ষম। এক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহারসহ কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।
দ্রুত পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স করে এ বিষয়ে আরো তথ্য জানা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।