ভারত-শ্রীলঙ্কায় চা শ্রমিকদের মজুরি ৩০০ টাকারও বেশি!

Slider সারাবিশ্ব


দশ দিন ধরে লাগাতার কর্মবিরতির পাশাপাশি ন্যূনতম মজুরি ৩০০ টাকার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চা শ্রমিকরা। এ নিয়ে দফায় দফায় বৈঠকেও আসছে না সমাধান। অথচ পাশের বিভিন্ন দেশগুলোতে চা শ্রমিকদের মজুরি দৈনিক ৩০০ টাকারও বেশি। সেখানে সিলেটের শ্রমিকরা পাচ্ছেন মাত্র ১২০ টাকা।

গত ১৩ আগস্ট থেকে পূর্ণদিবসের কর্মবিরতি আগে তিন দিন দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি করে মালিকপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে লাগাতার কর্মবিরতির পাশাপাশি আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকরা।

এদিকে পরিস্থিতি নিরসনে আন্দোলনরত শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) শ্রীমঙ্গলে এবং বুধবার (১৭ আগস্ট) ঢাকার শ্রম ভবনে দফায় দফায় বৈঠক করেন শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক ও মালিকপক্ষ। কিন্তু তাদের দাবি মেনে না নেয়ায় কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ায় ঘোষণা দেন শ্রমিকরা। তাদের বক্তব্য, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও শ্রীলংকায় মজুরির সঙ্গে কেন বৈষম্য করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সিলেট ভ্যালি শাখার সভাপতি রাজু গোয়ালা বলেন, আমাদের পাশের দেশ ভারতে কোনো জায়গায় ২৪০ রুপি, কোনো জায়গায় ২০৩ রুপি আবার শ্রীলংকার মতো দেশে আমার জানা মতে সাড়ে ৩০০ রুপি দৈনিক মজুরি আছে। তাহলে আমাদের দেশে এই বৈষম্যটা কেনো। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে আমাদের জীবনধারণ করাটাই দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। ১২০ টাকা দিয়ে দুই কেজি চাল কেনার পরে আর কিছুই থাকে না।
বর্তমান মজুরি ১২০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৩০০ টাকায় উন্নীত করার দাবিতে ৯ আগস্ট থেকে দেশের ২৪১ চা বাগানের লক্ষাধিক শ্রমিক আন্দোলন চলিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে ১৬৮টি চা বাগানের দেড় লাখেরও বেশি শ্রমিকের কর্মবিরতিতে দৈনিক ২০ কোটি টাকার বেশি মূল্যমানের চা পাতা নষ্ট হচ্ছে। বাগান মালিক কর্তৃপক্ষের দাবি, জিডিপিতে এই শিল্পের অবদান প্রায় ১ শতাংশ। ২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশি চায়ের বাজারমূল্য প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *