গাজীপুরে তাকওয়া পরিবহনে ডাকাতির পর এক গৃহবধূকে দলবেধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। জব্দ করা হয়েছে তাকওয়া পরিবহনের সেই বাসটি।
শনিবার (০৬ আগস্ট) ভোরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীর স্বামী বাদি হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ জানায়, সিটি করপোরেশনের ভোগড়া বাইপাস থেকে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ তার স্বামীর সঙ্গে তাকওয়া পরিবহনের একটি বাসে চড়ে শ্রীপুরে যাচ্ছিলেন। বাসটি চান্দিনা চৌরাস্তায় পৌঁছালে অপর একটি তাকওয়া পরিবহনের তিনজন স্টাফ ওই পরিবহনে উঠে।
একপর্যায়ে পরিবহন শ্রমিকরা ওই নারীর স্বামীকে মারধর করে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে বাস থেকে নামিয়ে দেয়। পরে বাসের ভেতর ওই নারীকে জোরপূর্বক দলবেধে ধর্ষণ করে।
বিষয়টি ভুক্তভোগীর স্বামী পুলিশকে জানালে তারা অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে আটক ও বাসটি জব্দ করেছে।
তবে এ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ভিকটিমের পরিবার কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
গণধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করে তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ড. মনজুর মুরশেদ বলেন, বিকেল ৩টায় নির্যাতনের শিকার ওই নারী হাসপাতালে আসেন। এরপর থেকে তার চিকিৎসা চলছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে ঈগল এক্সপ্রেসের একটি বাস কুষ্টিয়ার ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে যাত্রীবেশে ডাকাত দল উঠে প্রথমে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে যাত্রীদের হাত-পা ও চোখ বেঁধে মারধর এবং লুটের পর এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। ডাকাত দল বাসটি ঘুরিয়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের সামনে ফেলে রেখে নেমে যায়।