ডিসেম্বরে চালু হচ্ছে খুলনা-মোংলা রেলপথ

Slider জাতীয়


রেলওয়ের নির্মাণাধীন খুলনা থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত নতুন রেলপথ চলতি বছরের ডিসেম্বরে চালু হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
ডিসেম্বরে চালু হচ্ছে খুলনা-মোংলা রেলপথ

সোমবার (১ আগস্ট) নির্মাণাধীন খুলনা-মোংলা রেলপথ নির্মাণকাজ পরিদর্শনের সময় রূপসা রেলসেতু এলাকায় উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ ঘোষণা দেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এ প্রকল্পের মেয়াদ ডিসেম্বরে শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমি সরেজমিন দেখতে এসেছি। আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ ছিল রূপসা রেলসেতু নির্মাণ। সেটির নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এখন সেটির ওপর ট্র্যাক নির্মাণ করা হবে। এ রেললাইনের বেশির ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে কিছু কাজ বাকি আছে। সিগন্যালিংয়ের কাজ চলমান। তিন চার মাসের মধ্যে সেটি সম্পন্ন হবে। কয়েকটি স্টেশন-এর কাজ সম্পন্ন হয়েছে, কয়েকটির কাজ বাকি আছে।

অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ ছাড়াও এ রেললাইনটির উপকার পাবে ভারত, নেপাল ও ভুটান। কারণ সমুদ্রপথে মোংলা বন্দর থেকে পণ্য আমদানি-রফতানির বিশাল একটা সুযোগ তৈরি করবে এ রেল লাইনটি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি আমাদের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত আগামী বছর জুনে চালু হলে ট্রেনে কুষ্টিয়া হয়ে খুলনায় যোগাযোগ করা সম্ভব হবে। কাজেই তখন থেকেই আমরা এই লাইনটির উপকার পাব। ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ কৃষিপণ্য রফতানির ক্ষেত্রেও এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

পরিদর্শনের সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার ও পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদারসহ প্রকল্প পরিচালক এবং সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ভারত সরকারের ঋণসহায়তা চুক্তির আওতায় খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান লার্সেন অ্যান্ড টার্বো। রেলপথ প্রকল্পটির রূপসা রেলসেতু বাদেও খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত রেললাইন এবং টেলিকমিউনিকেশন ও সিগন্যালিংয়ের কাজ চলছে। ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে ৬৫ কিলোমিটার রেলপথ বসেছে। এ ছাড়া ৩১টি ছোট ব্রিজ ও ১১০টি কালভার্ট নির্মাণ এবং খুলনার ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত ৮টি স্টেশন নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। জুলাই মাস পর্যন্ত প্রকল্পের কাজের ভৌত অগ্রগতি ৯৫ শতাংশ।

এ রেলপথ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দক্ষিণাঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে মনে করেন মোংলা বন্দর বার্থ অ্যান্ড শিপ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ জাহিদ হোসেন ও মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী সমন্বয় সমিতির মহাসচিব অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম।

খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২৬১ কোটি টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *